১৬ অক্টোবর, বিশ্ব খাদ্য দিবস (World Food Day)। একটি দেশের নাগরিকগণের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে খাদ্য অন্যতম। গত কয়েক দশকে পৃথিবীর আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চাষযোগ্য জমি সংরক্ষণ, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, কৃত্রিম বনায়ন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পৃথিবীর সব উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশ, বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যস্ত হয়ে আছে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। পৃথিবী জুড়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং আরও কয়েকটি বিষয়ের পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এখন সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যের মধ্যে একটি।
খাদ্য নিরাপত্তা বলতে খাদ্যের লভ্যতা এবং মানুষের খাদ্য ব্যবহারের অধিকারকে বোঝায়। কোন বাসস্থানকে তখনই “খাদ্য নিরাপদ ” বলে মনে করা হয়, যখন এর বাসিন্দারা ক্ষুধার্ত অবস্থায় বসবাস করেন না কিংবা খাদ্যাভাবে উপবাসের কোনও আশঙ্কা করেন না। বিশ্ব খাদ্য সম্মেলন (১৯৯৬) অনুযায়ী “খাদ্য নিরাপত্তা তখনই আছে বলে মনে করা হয় যখন সকল নাগরিকের সব সময়ের জন্যে যথেষ্ট পরিমাণে, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রাপ্তির প্রত্যক্ষ ও অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা থাকে যা তাঁদের সক্রিয় ও সুস্থ জীবন নিশ্চিতকরণের জন্যে সঠিক পরিমাণ খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে।”
১৯৭৯ সালে বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার FAO (Food and Agricultural Organisation) ২০তম সাধারণ সভায় হাঙ্গেরির তৎকালীন খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. প্যাল রোমানি বিশ্বব্যাপী এই দিনটি উদযাপনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ১৯৮১ সাল থেকে বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিষ্ঠার দিনটিতে (১৬ অক্টোবর, ১৯৪৫) দারিদ্র ও ক্ষুধা নিবৃত্তির লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে এই দিনটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করে আসছে।
বিশ্ব খাদ্য দিবসের ইতিহাস:
হাঙ্গেরির প্রাক্তন কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রী ডঃ পল রোমানি-র পরামর্শ অনুসারে ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে 'বিশ্ব খাদ্য দিবস' চালু করা হয়। তারপরে এটি ধীরে ধীরে ক্ষুধা, অপুষ্টি, স্থায়িত্ব এবং খাদ্য উৎপাদন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি উপায় হয়ে ওঠে।
বিশ্ব খাদ্য দিবসের তাৎপর্য:
প্রতি বছর জাতিসংঘের FAO (Food and Agricultural Organisation) প্রতিষ্ঠার বার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হয়। এই দিনটির লক্ষ্য হল, বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা মোকাবেলা এবং সারা বিশ্বে ক্ষুধা সমস্যা দূর করার জন্য প্রচেষ্টা করা।
কেবলমাত্র ভারতেই নয়, গোটা বিশ্বে অপুষ্টির ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এজন্য মানুষকে সচেতন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন মানুষের সুস্থ-সবল থাকার জন্য পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আজও অপুষ্টির কারণে হাজার হাজার মানুষ নিজেদের জীবন হারাচ্ছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে, খাদ্যকে প্রত্যেক ব্যক্তির মৌলিক অধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বিশ্ব খাদ্য দিবসের মূল উদ্দেশ্য :
তথ্যসূত্র:
লেখক:
বি.এসসি, এম.এ(ভূগোল), বি. এড্
ঘোড়ালিয়া, শান্তিপুর, নদিয়া।