Welcome to GEO HUB (Enhance Your Geo Knowledge) Ghoralia, Santipur, Nadia, West Bengal-741404, Mobile: 8926495022 email: geohubghoralia@gmail.com

Diable copy paste

Friday, 21 May 2021

মাসিক ভূগোল ও পরিবেশ সংবাদ, ফেব্রুয়ারি-২০২১


উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ তুষার ধস, জলস্রোতে ভেঙে যায় ধুলিগঙ্গার বাঁধ

৭ ফেব্রু: উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ তুষার ধস নেমেছে৷ চামোলি হিমবাহে ফাটল, এবং ধস৷ ধুলিগঙ্গায় এই ধস নেমেছে চামোলির জেলার রেনি গ্রামে৷ ফলে ধুলিগঙ্গার দু’পাশে গ্রাম খালি করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক৷ চামোলি জেলায় এই দুর্যোগ, জেলা আধিকারিক, পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী একযোগে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করতে উদ্যত হয়েছে৷ সবরকম ব্যবস্থা করছে সরকার এবং কোনও গুজবে কান দেবেন না৷ সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন উত্তরাখাণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত৷

যোশিমঠের কাছে হিমবাহে ফাটল ধরা পড়ে৷ ধসের জন্য ধুলিগঙ্গার বাঁধে ভাঙন ধরে৷ এই দুর্যোগের ফলে বেশ কয়েক জনের ভেসে যাওয়ার আশঙ্কায় ধুলিগঙ্গার দু’পাশে গ্রাম খালির করে দেওয়া হয়৷ ঋষিগঙ্গা বিদ্যু‍ৎ প্রকল্পের ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছে৷ উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছে ITBP ৷

আসছে বিশাল আকারের গ্রহাণু!

৭ ফেব্রু: নাসা (NASA)সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২২ ফেব্রুয়ারি এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর সব চেয়ে কাছে আসবে। যদিও  এটির পৃথিবীতে ধাক্কা মারার কোনও আশঙ্কা নেই বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।

এটিকে বলা হচ্ছে, NEO (Near Earth Object)। কেননা, গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে ৩০ হাজার মাইলের মধ্যে থাকবে বলে বলা হচ্ছে। আকারে স্ট্যাচু অফ লিবার্টির (Statue of Liberty) দ্বিগুণ এই গ্রহাণুটির নাম '2020 XU6' (asteroid 2020 XU6)৷ গ্রহাণুটি প্রায় ২১৩ মিটার লম্বা। গ্রহাণুটি প্রতি ঘণ্টায় ৩০ হাজার ২৪০ কিলোমিটার (30,240 kilometres an hour)বেগে দৌড়চ্ছে। অর্থাৎ, এটি এক ঘণ্টার মধ্যে পৃথিবী ভ্রমণ করতে পারবে।

বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, পৃথিবীর নিকটস্থ মহাকাশ-অংশে প্রায় ১৮ হাজার গ্রহাণু ঘুরে বেড়ায়। তার মধ্যে মাত্রই ১৮০০ গ্রহাণু বিপজ্জনক। এর মধ্যে আবার ১৫০টি অত্যন্ত বিপজ্জনকের পর্যায়ে পড়ে। বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ, এগুলি মূলত মঙ্গল ও বৃহস্পতির মধ্যবর্তী অংশেই পাওয়া যায়। এবং এগুলি পৃথিবীর কোনও ক্ষতি করতে পারবে না বলেই আশা বিজ্ঞানীদের। তবুও এই ধাবমান গ্রহাণুটির উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।

Source: Sangbad Pratidin

উত্তরাখণ্ডের মতো মেঘভাঙা বৃষ্টির আশঙ্কা! বিপদসীমার বাইরে নয় কলকাতাও

৮ ফেব্রু: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের অধ্যাপক লক্ষ্মী শিবরামকৃষ্ণন জানিয়েছেন, নদীর স্বাভাবিক গতিপথ আটকে জায়গায় জায়গায় বাঁধ দেওয়াতেই গন্ডগোল। উত্তরাখণ্ড জুড়ে গড়ে উঠেছে একের পর এক জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। পিপল কোটি হাইড্রো প্রোজেক্ট, বিষ্ণুপ্রয়াগ প্রোজেক্ট, ঋষি গঙ্গা পাওয়ার প্রোজেক্ট। উত্তরাখণ্ডের গড় তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে এই প্রকল্পগুলি। যার ফলে ক্রমশ উষ্ণ হচ্ছে উত্তরাখণ্ডের শীতকাল।বছর পনেরো আগেও উত্তরাখণ্ডে শীতের তাপমাত্রা থাকত মাইনাস ৬ থেকে মাইনাস ১০ এর কাছাকাছি। এখন মেরেকেট তা হিমাঙ্কের দু’ডিগ্রি নিচে নামে। এমন আবহাওয়াতেই গলতে শুরু করেছে হিমবাহ? যার জন্য ধরে রাখতে পারছে না ভারি বরফের চাঁই।

মেঘভাঙা বৃষ্টি না স্রেফ হিমবাহ গলে পরার কারণে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল দেড়শো প্রাণ? উত্তর খুঁজতে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের এই প্রভাব কলকাতাতেও পড়তে পারে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশেনোগ্রাফির অধ্যাপক সুগত হাজরা জানিয়েছেন, মেঘভাঙা বৃষ্টি এখন আর স্রেফ শোনা কথা নয়। কেউ ভাবতে পেরেছিল? শীতের এই সময় নন্দাদেবী হিমবাহের একটা অংশ ভেঙে পরবে ধউলি গঙ্গায়। বর্ষাকালে এমনটা হয়। মেঘভাঙা এই বৃষ্টি তিলোত্তমার মানুষও চাক্ষুষ করতে পারে। ডা. হাজরার কথায়, সমতল হওয়ায় এখানে প্রাণহানি হবে না। তবে জলের তলায় চলে যাবে শহরের নিচু এলাকা।

পরিসংখ্যান বলছে ক্রমশ বৃষ্টি বাড়ছে এ শহরে। সাধারণত মেঘভাঙা বৃষ্টির ক্ষেত্রে একঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়। সুগত হাজরা জানিয়েছেন, গভীর পর্যবেক্ষণে প্রমাণিত গত ৭০ বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা ও মধ্য ভারতে অতিপ্রবল বৃষ্টি প্রায় তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে। ভারী বৃষ্টিও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। তবে বঙ্গোপসাগরের তুলনায় আরব সাগরের উষ্ণতা বৃদ্ধি বেশি হচ্ছে। যে কারণে মুম্বইয়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

প্রতি বছর জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়ছে এবং সেটাই বর্ষাকালে পশ্চিম ও মধ্য ভারতে অতিবৃষ্টি বাড়াচ্ছে। এই উষ্ণায়নের পিছনে কার্বন দূষণকেও দায়ী করেছেন অধ্যাপক হাজরা। উল্লেখ্য, গতবছরই আমফান ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল কলকাতা। সমীক্ষা বলছে প্রতি ১০ বছরে ৮ শতাংশ করে শক্তি বাড়াচ্ছে এহেন ঘূর্ণিঝড়। অধ্যাপকের কথায়, এখনই সচেতন হয়ে বিশ্ব উষ্ণায়ন না ঠেকাতে পারলে বন্যা দেখতে পাবে কলকাতা। প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে স্বস্তি নেই কলকাতারও।

Source: Sangbad Pratidin

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল

১২ ফেব্রু: উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল কেঁপে উঠল জোরাল ভূমিকম্পে। 

পাঞ্জাবের অমৃতসরে রিখটার স্কেলে ৬.১ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়। এর প্রভাব পড়ে দিল্লি পর্যন্তও। আতঙ্কে লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। ভূমিকম্পের উৎস ছিল পাঞ্জাবের অমৃতসরের ২১ কিমি দূরে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি এই তথ্য জানিয়েছে।

Source: Akashbani Sangbad kolkata

মঙ্গলের মাটিতে সফল অবতরণ করেছে নাসার মার্স রোভার 'পারসিভারেন্স'

১৫ ফেব্রু: সকলকে আশ্বস্ত করে 'seven minutes of terror' পেরিয়ে মঙ্গলের মাটিতে সফল অবতরণ করেছে নাসার মার্স রোভার 'পারসিভারেন্স' (NASA's Mars rover Perseverance)।

এটি একটি robotic astrobiology lab।  সফল এই অবতরণের সঙ্কেত ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে লস এঞ্জেলে্সের জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরি (Jet Propulsion Laboratory/JPL)-তে। 

জেপিএল-এর বিজ্ঞানীদের আতঙ্ক ছিল-- মঙ্গলের মাটিতে প্রচণ্ড গতিতে আছড়ে পড়ার সময়ে ছ'চাকার যে যানটি আছে তার যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, এজন্য যানটিকে একটি ক্যাপসুলের মধ্যে ঢুকিয়ে মঙ্গলযানের সঙ্গে পাঠানো হয়েছিল। ২০৪০ লক্ষ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে প্রায় ৭ মাসের যাত্রা শেষে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে পৌঁছেছে 'পারসিভারেন্স'। শেষ ৭ মিনিটের মধ্যে ওই যান-সহ ক্যাপসুলটি ধীরে ধীরে আছড়ে পড়ে এক জায়গায় থেমে যাওয়ার কথা। এই ঘটনাটাই ঠিক ভাবে হবে কিনা, এই নিয়ে উদ্বেগ ছিল বিজ্ঞানীদের। JPL engineers মজা করে আতঙ্কটিকে 'seven minutes of terror' বলেছিলেন।

এখন ল্যান্ডিং হয়ে যাওয়ার পরে প্রাথমিক ভাবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, কোনও ক্ষতি হয়নি 'পারসিভারেন্সে'র। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই এটি মঙ্গলের মাটিতে অভিযানও শুরু করে দেবে। ৬ চাকার ওই অনুসন্ধানযান মঙ্গলপৃষ্ঠের ছবি তুলবে, মাটির প্রকৃতি বিশ্লেষণ করবে এবং সেই সব ছবি ও তথ্য পাঠাতে থাকবে।

Source: zee24Ghanta

মঙ্গলের সেই শুকিয়ে যাওয়া নদীর ব-দ্বীপের ছবি তুলে পাঠাল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’র রোবট-যান ‘পারসিভের‌্যান্স’

২৭ ফেব্রু: গ্রহাণুর ধাক্কায় শুকিয়ে গিয়েছিল নদীর জল। সে প্রায় ৪০০ কোটি বছর আগের ঘটনা। এ বার মঙ্গলের সেই শুকিয়ে যাওয়া নদীর ব-দ্বীপের ছবি তুলে পাঠাল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’র রোবট-যান ‘পারসিভের‌্যান্স’। শুধু মজে যাওয়া নদীর ব-দ্বীপই নয়, এবড়ো খেবড়ো পাথুরে জমি, মেটে রঙে একাকার হয়ে যাওয়া মাটি ও আকাশ, ধূ ধূ প্রান্তর, এ সবই ধরা পড়েছে ওই রোবট-যানের ক্যামেরায়। মঙ্গলে বসতি সরিয়ে যাওয়ার স্বপ্নে যখন মশগুল গোটা বিশ্ব, ঠিক সেই সময় এই ছবির দৌলতে ঘরে বসেই সেরে ফেলা যাচ্ছে লালগ্রহ-দর্শন।


গত ১৯ ফেব্রুয়ারি লালগ্রহের মাটি ছোঁয় ‘পারসিভের‌্যান্স’। অবতরণের সময়ই পাথুরে মঙ্গলপৃষ্ঠের একটি ছবি পাঠিয়েছিল সেটি। তার সঙ্গে নতুন ছবিগুলি হুবহু মিলে যায়। ২১ ফেব্রুয়ারি উচ্চ শক্তিসম্পন্ন (হাই রেজলিউশন) ক্যামেরার মাধ্যমে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে শতাধিক দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে সেটি। তার মধ্যে থেকে ১৪২টি ছবি জুড়ে রোবট-যানের আশেপাশের একটি পরিদৃশ্য (প্যানোরমিক ভিউ) তৈরি করেছে নাসা, যার মাধ্যমে আরও ভাল করে মঙ্গলের দৃশ্যপটের সঙ্গে পরিচিতি ঘটছে সাধারণ মানুষের।


এই মুহূর্তে মঙ্গলের জেজেরো গহ্বরে অবস্থান করছে ‘পারসিভের‌্যান্স’। সেখান থেকেই পারিপার্শ্বিক দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছে তার ১৩৫-৪০০ মিলিমিটারের মাস্টক্যাম-জেড ডুয়াল ক্যামেরা, যার লেন্স দিয়ে তোলা ছবি ৩০ হাজার পিক্সেল পর্যন্ত জুম করে দেখা যায়। নাসার তরফে যে দৃশ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বহু দূরে অবস্থিত দুরারোহ পর্বতগাত্রও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। এমনকি ৩ থেকে ৫ মিলিমিটার পর্যন্ত বস্তুকেও স্পষ্ট দেখা সম্ভব এই ছবিতে। ওই উচ্চশক্তিসম্পন্ন ক্যামেরা থ্রি-ডি ছবি এবং ভিডিয়ো তুলতেও সক্ষম। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলপৃষ্ঠ থেকে কোন নুড়ি এবং পাথর পরীক্ষার জন্য পৃথিবীতে আনা হবে, তা ওই ক্যামেরার মাধ্যমেই ঠিক হবে। অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির স্কুল অব আর্থ অ্যান্ড স্পেস এক্সপ্লোরেশন এবং সান দিয়েগোর মালেনি স্পেস সায়েন্স সিস্টেমস মিলে মাস্টক্যাম-জেড-এর খুঁটিনাটি সমস্ত যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি তৈরি করেছে।

কোনও কালে মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না জানতে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের মাটি ছোঁয় ‘পারসিভের‌্যান্স’। আগামী কয়েক বছর মাটি খুঁড়ে সেখান থেকে পাথর, জীবাশ্ম এবং মাটির নমুনা সংগ্রহ করে ২০৩০ নাগাদ পৃথিবীতে পাঠানোই কাজ সেটির। গবেষণাগারে সেগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন বিজ্ঞানীরা। জানাবেন, লালগ্রহকে আদৌ মানুষের বসবাসের উপযুক্ত করে তোলা যাবে কি না।

Source: Anandabazar patrika


Thursday, 20 May 2021

মাসিক ভূগোল সংবাদ, জানুয়ারী-২০২১



পৃথিবীর অনুসূর অবস্থা

 ২ রা জানুয়ারী, ২০২১ সালে পৃথিবীর অনুসূর (Perihelion)। সূর্যের চারদিকে কোন গ্রহের কক্ষপথের নিকটতম বিন্দুকে অনুসূর এবং দূরতম বিন্দুকে অপসূর বলে। আমাদের সৌরজগতের গ্রহরা সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। গ্রহদের কক্ষপথ ছড়ানো, অনেকটা ডিম্বাকৃতির। আরো সঠিক করে বললে উপবৃত্তাকার। আর এই উপবৃত্তাকার হবার কারণেই সূর্য থেকে গ্রহদের দূরত্ব নির্দিষ্ট থাকে না। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে আসার সময় পৃথিবী (অন্য গ্রহসমূহ, গ্রহাণু, ধূমকেতুরাও) প্রতি বছর এক বার করে অপসূর ও অনুসূর অবস্থান পৌঁছায়। সাধারণত জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে নিকটে ও জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে সবচেয়ে দূরে থাকে। আমরা জানি, জানুয়ারি মাসে ভারত সহ পুরো উত্তর গোলার্ধে শীতকাল থাকে। তাহলে শীতকালে সূর্য আমাদের সবচেয়ে কাছে থাকে - এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? হ্যাঁ এটাই বাস্তবতা। আসলে শীত বা গরম পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বের উপর নির্ভর করে না বললেই চলে। এটা নির্ভর করে পৃথিবীর কক্ষীয় নতির উপর। আর অনুসূর অবস্থানে পৃথিবীর দক্ষিন গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল থাকে। অনুসূর অবস্থানে থাকার সময় সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব থাকে ৯ কোটি ১০ লক্ষ মাইল বা ১৪ কোটি ৭০ লক্ষ কিমি। অন্য দিকে অপসূর অবস্থানে এই দূরত্ব হচ্ছে ৯ কোটি ৫০ লক্ষ মাইল বা ১৫ কোটি ২০ লক্ষ কিমি। প্রতিবছর এই দূরত্বগুলির কিছুটা হেরফের হয়। ২০২১ সালের ২রা জানুয়ারী অর্থাৎ আজ সূর্য থেকে পৃথিবী সবচেয়ে কম দূরত্বে অবস্থান করছে, অর্থাৎ এবছর আজ অনুসূর। এদিন সূর্য থেকে পৃথিবীর অনুসূর অবস্থানের দূরত্ব হল ১৪,৭০,৯৩,১৬৩ কিমি। 

 শেষ ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে জোরে ঘুরছে পৃথিবী

১০,জানু: বিগত ৫০ বছরের তুলনায় পৃথিবী সময়ের চেয়ে দ্রুত গতিতে চলেছে। কীভাবে এবার এই ব্যাপারকে সামলানো যায় তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বিজ্ঞানীরাও। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, পৃথিবী ২৪ ঘন্টার আগেই তার নিজের অক্ষের উপর ঘোরা সম্পন্ন করে ফেলছে। গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে এই পরিবর্তন এসেছে বলে জানানো হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল কত দ্রুত গতিতে চলছে? কীভাবে এটি আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলবে?

পৃথিবী ২৪ ঘন্টায় তার অক্ষের ওপর একবার পাক খায়। তবে গত বছর জুন থেকে এখন অবধি পৃথিবীটি নিজের অক্ষের উপর দিয়ে দ্রুত গতিতে চলেছে। এ কারণে পৃথিবীর সমস্ত দেশের সময় বদলে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের নিজ নিজ জায়গায় থাকা অ্যাটোমিক ঘড়ির সময় পরিবর্তন করতে হবে। অর্থাৎ এবার বিজ্ঞানীদের তাদের ঘড়িতে নেতিবাচক লিপ সেকেন্ড যুক্ত করতে হবে। ১৯৭০ সাল থেকে এখন অবধি ২৭ লিপ সেকেন্ড যুক্ত করা হয়েছে।

ব্রিটিশ ওয়েবসাইট ডেইলি মেইলে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, বিগত বেশ কয়েক দশক ধরে, পৃথিবী ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তার অক্ষের ওপর ঘোরে। তবে গত বছরের জুন থেকে ২৪ ঘন্টার কম সময়ের মধ্যে ঘূর্ণন শেষ করছে। এই মুহুর্তে, পৃথিবী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ০.৫ মিলি সেকেন্ডের কম সময় নিয়ে ঘুরছে। যার ফলে আমাদের ২৪ ঘন্টা থেকে ০.৫ মিলি সেকেন্ড কমে গেছে।২৪ ঘন্টার মধ্যে ৮৬,৪০০ সেকেন্ড হয়। গত বছরের জুন থেকে এই ৮৬,৪০০ সেকেন্ড থেকে ০.৫ মিলিসেকেন্ড হ্রাস পেয়েছে। ১৯ জুলাই দিনটি ২৪ ঘন্টার থেকে ১.৪৬০২ মিলি সেকেন্ড কম ছিল। এর আগের সবচেয়ে ছোট দিনটি ছিল ২০০৫ সালে। তবে গত একবছরে এই রেকর্ড মোট ২৮ বার ভেঙে পড়েছে। সময়ের এই পরিবর্তনটি কেবল অ্যাটোমিক ঘড়িতে দেখা যায়। তবে এর কারণে অনেক সমস্যা আসতে পারে। আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক সমস্যা হতে পারে। কারণ আমাদের স্যাটেলাইট, এবং যোগাযোগ ডিভাইসগুলি সৌর সময় অনুসারে সেট করা আছে। এই সময় তারা, চাঁদ এবং সূর্যের অবস্থান অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।

ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প, মৃত ৭ আহত কয়েকশো

১৫ জানু: শুক্রবার ভোরের দিকে ইন্দোনেশিয়ার সুলায়েসি দ্বীপে (Indonesia's Sulawesi island) এই কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৬.২। কম্পনের উৎসস্থল ম্যাজিন শহরের (Majene city)উত্তর-পূর্বে ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে। তবে এখনও পর্যন্ত  দেশের আবহাওয়াবিদেরা ( Meteorology, Climatology and Geophysics Agency) সুনামির (tsunami) কোনও সতর্কতা জারি করেননি।

একটি হাসপাতাল ভেঙে পড়েছে। রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা মাটির নীচে চাপা পড়েছেন। তাঁদের উদ্ধারের কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ম্যাজিনে (Majene city)৪ জন এবং মামুজু (Mamuju)-তে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৭০০ মানুষ। মৃত এবং আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা।

Source: zee24Ghanta

বৃহস্পতির চাঁদ গ্যানিমেডে এফএম রেডিও সিগন্যাল, ধরা পড়ল NASA-র স্পেসক্রাফ্টে!

১৬ জানু: এবার বৃহস্পতির চাঁদ গ্যানিমেডে অনুভূত হল রেডিও সিগনাল। আর সম্প্রতি সেই তরঙ্গ চিহ্নিত করল NASA-র একটি স্পেসক্রাফ্ট। সাধারণত, রেডিও তরঙ্গ বা FM সিগন্যাল কোনও জীব থাকার ইঙ্গিত বা যোগাযোগের বিষয়টিকে তুলে ধরে। এর জেরে অনেকেই বৃহস্পতির চাঁদে এলিয়েনের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন। তবে জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন মহাকাশ-বিজ্ঞানীরা স্বয়ং। তাঁদের কথায়, আপাতত এরকম কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতির কোনও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার জেরেই এই রেডিও তরঙ্গের উৎপত্তি।

NASA-র তরফে জানা গিয়েছে, JUNO নামের এক স্পেসক্রাফ্টে ধরা পড়েছে এই এফএম রেডিও সিগন্যাল। বৃহস্পতির কক্ষপথ ধরেই প্রদক্ষিণ করছিল মহাকাশযানটি। এমন সময়ে বৃহস্পতির চাঁদ গ্যানিমেড (Ganymede) থেকে তরঙ্গের বিষয়টি অনুধাবন করতে সক্ষম হয় JUNO। উল্লেখ্য বৃহস্পতির ৭৯টি চাঁদের মধ্যে অন্যতম চাঁদ হল গ্যানিমেড। এর আগে কখনও এই চাঁদ থেকে কোনও রকম তরঙ্গ বা এফএম সিগন্যাল ধরা পড়েনি। তাই ক্রমেই জল্পনা বাড়ছে। মহাকাশ-বিজ্ঞানীদের কথায়, মূলত ইলেকট্রন থেকে এই ধরনের তরঙ্গ বা সিগন্যাল সৃষ্টি হয়। এই গ্রহে হ য়তো কোনও প্রাকৃতিক পরিবর্তন ঘটে থাকবে। আর এর জেরেই এমন তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে সাইক্লোট্রন ম্যাসার ইনস্ট্যাবিলিটি (cyclotron Maser Instability) নামে এক প্রক্রিয়ার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। সাধারণত কোনও তড়িৎ-চুম্বকীয় ক্ষেত্রে ঘটে থাকে এই ধরনের প্রক্রিয়া। এর জেরে ইলেকট্রনের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়। আর আশপাশের এলাকায় একটি ফ্রিকোয়েন্সি অনুভূত হয়। JUNO স্পেসক্রাফ্টটি সেই ফ্রিকোয়েন্সি ধরতে সক্ষম হয়েছে।

Source: News18Bangla

২০১৮-র পর আবারও সাহারায় বরফ!

২০,জানু: সাহারা শব্দটা মাথা আসলেই চোখে ভেসে ওঠে ধূ-ধূ মরুভূমি। তীব্র গরম। ঝলসানো রোদ। কিন্তু এই মরুভূমিতেই যদি সাদা সাদা বরফ খুঁজে পাওয়া যায়? বিশ্বাস হবে না নিশ্চয়ই? অনেকেরই মনে হতে পারে যেখানে তাপমাত্রা এত বেশি থাকে, সেখানে বরফ? হ্যাঁ, সেখানেই বরফ পড়েছে এই বছর। এটা কোনও ম্যাজিক নয়। জানা যাচ্ছে, সাহারার তাপমাত্রা এবার শীতে মাইনাস ২ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে এবং তার জন্যই বরফ পড়েছে এই এলাকায়।

সম্প্রতি এক ফটোগ্রাফার করিম বুচেতাতা সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ছবি শেয়ার করেন। যাতে দেখা যায়, মরুভূমির উপরে তুলোর মতো ছড়িয়ে আছে কিছু। যা দেখে প্রথমে অনেকেই বিশ্বাস করতে চাননি যে এটা বরফ হতে পারে। কিন্ত পরে জানা যায়, এ বছর মাইনাস ২, এমনকি মাইনাস ৩ ডিগ্রিরও নিচে নেমে গিয়েছিল মরুভূমির তাপমাত্রা। আর তার জন্যই বরফ পড়েছে এই সব এলাকায়।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য তাপমাত্রা পরিবর্তন হয়েছে মরুভূমি এলাকায়। শুধু সাহারাই নয়, আফ্রিকা ও এশিয়ার আরও অনেক মরুভূমিতেই একই ছবি দেখা গিয়েছে। যেমন অ্যাটলাস পর্বতের উপর এইন সেফ্রা। মরুভূমির প্রবেশদ্বার নামে পরিচিত এই শহর সমুদ্র উপকূল থেকে ১০০০ মিটার উপর থেকে শুরু হয়েছে। এটি প্রচণ্ড উষ্ণ এলাকা নামেই পরিচিত। কিন্তু এই অংশেও বরফ দেখা গিয়েছে এই বছরে। গত ৪২ বছরে এই নিয়ে চার বার বরফ দেখা গেল সাহারা মরুভূমিতে। ১৯৭৯ সালে প্রথম এই এইন সেফ্রাতেই বরফ দেখা গিয়েছিল। তার পর ২০১৬-র ডিসেম্বরে ও ২০১৮-র ডিসেম্বরে প্রায় ১৬ ইঞ্চি করে জায়গা বরফে ঢেকে যায়। এই হঠাৎ বরফ পড়ায় স্বভাবতই সমস্যায় পড়ে জনজীবন। এত গরম থেকে হঠাৎ এতটা ঠাণ্ডা মানিয়ে নিতে সমস্যা হয় তাদের।

সকলেই জানে মরুভূমি মানেই প্রখর রোদ ও প্রচন্ড গরম। সঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়া। কিন্তু এখানকার তাপমাত্রাই রাতের দিকে দ্রুত কমতে শুরু করে। এবার বাতাস ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরতে ঘুরতে উচ্চ চাপ তৈরি করে উত্তর গোলার্ধে। এবং এর ফলে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবেশ করে। তাই এই ধরনের ঘটনা মাঝে মধ্যে দেখা যেতে পারে। দেখা গিয়েছে ইয়োরোপে উচ্চ চাপ তৈরি হওয়ায় তা অনেক সময়ে মহাসাগরীয় ঠাণ্ডা বাতাস অন্য দিকে সরিয়ে দিয়েছে এবং এর ফলে দক্ষিণ ইউরোপের সাহারার অংশে, বিশেষ করে এইন সেফ্রায় বরফ পড়েছে। বেশ কিছু রিপোর্ট বলছে, বিশ্ব উষ্ণায়ন ও তার ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই এমন হচ্ছে। অনেকে বলছেন, সাহারায় বৃষ্টিপাতের তারতম্যের ফলেও সেখানকার তাপমাত্রায় তারতম্য দেখা দিচ্ছে। যার ফলেও এই বরফ পড়তে পারে।

Source: News18Bangla

হাজার ফুট গভীর সমুদ্রের হদিশ মিলল শনির উপগ্রহে, অবাক বিজ্ঞানীরা

২৫,জানু: বিরাটাকার সমুদ্রের  হদিশ মিলল মহাকাশে। মহাজাগতিক রহস্য উদঘাটনে ব্যস্ত বিজ্ঞানীদের হাতে নয়া তথ্য। যা দেখে অবাক তাঁরা। প্রায় হাজারের বেশি ফুট গভীরের সমুদ্রের খোঁজ মিলেছে  শনির (Saturn) উপগ্রহ টাইটানে (Titan)। যার আয়তন এতটাই বেশি যে সাবমেরিন চলাচল করতে পারে। সেই সমুদ্রের তলদেশে কী আছে তা জানতে মগ্ন বিজ্ঞানীরা। 

জলাশয়ের সঙ্গে মিল আছে পৃথিবীর। বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে পৃথিবী জন্মলগ্নে যেমন দেখতে ছিল,টাইটানের এখন সেই রূপ। এর আগে শনির উত্তরমেরুতে পাওয়া গিয়েছিল   ক্র্যাকেন মেয়ার (Kraken Mare) নামে এক বড়সড় জলাশয়। যার মধ্যে ছিল ইথেন এবং মিথেন গ্যাসের তরল আকার। যার আয়তন ১ লক্ষ ৫৪ হাজার বর্গ মাইল। তবে টাইটানে কীভাবে এত জল আছে, তা জানতে মিথেন গ্যাসের পরীক্ষা করার পথে এগোচ্ছে বিজ্ঞানীরা। তাই নিয়েই বোঝা যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। শনির উপগ্রহের সুমদ্রের গভীরতা নিয়ে গবেষণা করা হবে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সেইখানে সাবমেরিন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তাঁরা। তার জন্য দেখতে হবে জলের ঘনত্ব,  প্রবাহ, মধ্যাকর্ষণ শক্তি, জলের প্রবাহ।

Source: zee24Ghanta