উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ তুষার ধস, জলস্রোতে ভেঙে যায় ধুলিগঙ্গার বাঁধ
৭ ফেব্রু: উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ তুষার ধস নেমেছে৷ চামোলি হিমবাহে ফাটল, এবং ধস৷ ধুলিগঙ্গায় এই ধস নেমেছে চামোলির জেলার রেনি গ্রামে৷ ফলে ধুলিগঙ্গার দু’পাশে গ্রাম খালি করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক৷ চামোলি জেলায় এই দুর্যোগ, জেলা আধিকারিক, পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী একযোগে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করতে উদ্যত হয়েছে৷ সবরকম ব্যবস্থা করছে সরকার এবং কোনও গুজবে কান দেবেন না৷ সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন উত্তরাখাণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত৷
যোশিমঠের কাছে হিমবাহে ফাটল ধরা পড়ে৷ ধসের জন্য ধুলিগঙ্গার বাঁধে ভাঙন ধরে৷ এই দুর্যোগের ফলে বেশ কয়েক জনের ভেসে যাওয়ার আশঙ্কায় ধুলিগঙ্গার দু’পাশে গ্রাম খালির করে দেওয়া হয়৷ ঋষিগঙ্গা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছে৷ উদ্ধার কাজে নেমে পড়েছে ITBP ৷
আসছে বিশাল আকারের গ্রহাণু!
৭ ফেব্রু: নাসা (NASA)সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২২ ফেব্রুয়ারি এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর সব চেয়ে কাছে আসবে। যদিও এটির পৃথিবীতে ধাক্কা মারার কোনও আশঙ্কা নেই বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।
এটিকে বলা হচ্ছে, NEO (Near Earth Object)। কেননা, গ্রহাণুটি পৃথিবী থেকে ৩০ হাজার মাইলের মধ্যে থাকবে বলে বলা হচ্ছে। আকারে স্ট্যাচু অফ লিবার্টির (Statue of Liberty) দ্বিগুণ এই গ্রহাণুটির নাম '2020 XU6' (asteroid 2020 XU6)৷ গ্রহাণুটি প্রায় ২১৩ মিটার লম্বা। গ্রহাণুটি প্রতি ঘণ্টায় ৩০ হাজার ২৪০ কিলোমিটার (30,240 kilometres an hour)বেগে দৌড়চ্ছে। অর্থাৎ, এটি এক ঘণ্টার মধ্যে পৃথিবী ভ্রমণ করতে পারবে।
বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, পৃথিবীর নিকটস্থ মহাকাশ-অংশে প্রায় ১৮ হাজার গ্রহাণু ঘুরে বেড়ায়। তার মধ্যে মাত্রই ১৮০০ গ্রহাণু বিপজ্জনক। এর মধ্যে আবার ১৫০টি অত্যন্ত বিপজ্জনকের পর্যায়ে পড়ে। বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ, এগুলি মূলত মঙ্গল ও বৃহস্পতির মধ্যবর্তী অংশেই পাওয়া যায়। এবং এগুলি পৃথিবীর কোনও ক্ষতি করতে পারবে না বলেই আশা বিজ্ঞানীদের। তবুও এই ধাবমান গ্রহাণুটির উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।
Source: Sangbad Pratidin
উত্তরাখণ্ডের মতো মেঘভাঙা বৃষ্টির আশঙ্কা! বিপদসীমার বাইরে নয় কলকাতাও
৮ ফেব্রু: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের অধ্যাপক লক্ষ্মী শিবরামকৃষ্ণন জানিয়েছেন, নদীর স্বাভাবিক গতিপথ আটকে জায়গায় জায়গায় বাঁধ দেওয়াতেই গন্ডগোল। উত্তরাখণ্ড জুড়ে গড়ে উঠেছে একের পর এক জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। পিপল কোটি হাইড্রো প্রোজেক্ট, বিষ্ণুপ্রয়াগ প্রোজেক্ট, ঋষি গঙ্গা পাওয়ার প্রোজেক্ট। উত্তরাখণ্ডের গড় তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে এই প্রকল্পগুলি। যার ফলে ক্রমশ উষ্ণ হচ্ছে উত্তরাখণ্ডের শীতকাল।বছর পনেরো আগেও উত্তরাখণ্ডে শীতের তাপমাত্রা থাকত মাইনাস ৬ থেকে মাইনাস ১০ এর কাছাকাছি। এখন মেরেকেট তা হিমাঙ্কের দু’ডিগ্রি নিচে নামে। এমন আবহাওয়াতেই গলতে শুরু করেছে হিমবাহ? যার জন্য ধরে রাখতে পারছে না ভারি বরফের চাঁই।
মেঘভাঙা বৃষ্টি না স্রেফ হিমবাহ গলে পরার কারণে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল দেড়শো প্রাণ? উত্তর খুঁজতে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের এই প্রভাব কলকাতাতেও পড়তে পারে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশেনোগ্রাফির অধ্যাপক সুগত হাজরা জানিয়েছেন, মেঘভাঙা বৃষ্টি এখন আর স্রেফ শোনা কথা নয়। কেউ ভাবতে পেরেছিল? শীতের এই সময় নন্দাদেবী হিমবাহের একটা অংশ ভেঙে পরবে ধউলি গঙ্গায়। বর্ষাকালে এমনটা হয়। মেঘভাঙা এই বৃষ্টি তিলোত্তমার মানুষও চাক্ষুষ করতে পারে। ডা. হাজরার কথায়, সমতল হওয়ায় এখানে প্রাণহানি হবে না। তবে জলের তলায় চলে যাবে শহরের নিচু এলাকা।
পরিসংখ্যান বলছে ক্রমশ বৃষ্টি বাড়ছে এ শহরে। সাধারণত মেঘভাঙা বৃষ্টির ক্ষেত্রে একঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়। সুগত হাজরা জানিয়েছেন, গভীর পর্যবেক্ষণে প্রমাণিত গত ৭০ বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে পশ্চিম উপকূলীয় এলাকা ও মধ্য ভারতে অতিপ্রবল বৃষ্টি প্রায় তিন গুণ বেড়ে গিয়েছে। ভারী বৃষ্টিও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। তবে বঙ্গোপসাগরের তুলনায় আরব সাগরের উষ্ণতা বৃদ্ধি বেশি হচ্ছে। যে কারণে মুম্বইয়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
প্রতি বছর জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়ছে এবং সেটাই বর্ষাকালে পশ্চিম ও মধ্য ভারতে অতিবৃষ্টি বাড়াচ্ছে। এই উষ্ণায়নের পিছনে কার্বন দূষণকেও দায়ী করেছেন অধ্যাপক হাজরা। উল্লেখ্য, গতবছরই আমফান ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল কলকাতা। সমীক্ষা বলছে প্রতি ১০ বছরে ৮ শতাংশ করে শক্তি বাড়াচ্ছে এহেন ঘূর্ণিঝড়। অধ্যাপকের কথায়, এখনই সচেতন হয়ে বিশ্ব উষ্ণায়ন না ঠেকাতে পারলে বন্যা দেখতে পাবে কলকাতা। প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে স্বস্তি নেই কলকাতারও।
Source: Sangbad Pratidin
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল
১২ ফেব্রু: উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল কেঁপে উঠল জোরাল ভূমিকম্পে।
পাঞ্জাবের অমৃতসরে রিখটার স্কেলে ৬.১ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়। এর প্রভাব পড়ে দিল্লি পর্যন্তও। আতঙ্কে লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। ভূমিকম্পের উৎস ছিল পাঞ্জাবের অমৃতসরের ২১ কিমি দূরে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি এই তথ্য জানিয়েছে।
Source: Akashbani Sangbad kolkata
মঙ্গলের মাটিতে সফল অবতরণ করেছে নাসার মার্স রোভার 'পারসিভারেন্স'
১৫ ফেব্রু: সকলকে আশ্বস্ত করে 'seven minutes of terror' পেরিয়ে মঙ্গলের মাটিতে সফল অবতরণ করেছে নাসার মার্স রোভার 'পারসিভারেন্স' (NASA's Mars rover Perseverance)।
এটি একটি robotic astrobiology lab। সফল এই অবতরণের সঙ্কেত ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে লস এঞ্জেলে্সের জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরি (Jet Propulsion Laboratory/JPL)-তে।
জেপিএল-এর বিজ্ঞানীদের আতঙ্ক ছিল-- মঙ্গলের মাটিতে প্রচণ্ড গতিতে আছড়ে পড়ার সময়ে ছ'চাকার যে যানটি আছে তার যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, এজন্য যানটিকে একটি ক্যাপসুলের মধ্যে ঢুকিয়ে মঙ্গলযানের সঙ্গে পাঠানো হয়েছিল। ২০৪০ লক্ষ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে প্রায় ৭ মাসের যাত্রা শেষে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে পৌঁছেছে 'পারসিভারেন্স'। শেষ ৭ মিনিটের মধ্যে ওই যান-সহ ক্যাপসুলটি ধীরে ধীরে আছড়ে পড়ে এক জায়গায় থেমে যাওয়ার কথা। এই ঘটনাটাই ঠিক ভাবে হবে কিনা, এই নিয়ে উদ্বেগ ছিল বিজ্ঞানীদের। JPL engineers মজা করে আতঙ্কটিকে 'seven minutes of terror' বলেছিলেন।
এখন ল্যান্ডিং হয়ে যাওয়ার পরে প্রাথমিক ভাবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, কোনও ক্ষতি হয়নি 'পারসিভারেন্সে'র। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই এটি মঙ্গলের মাটিতে অভিযানও শুরু করে দেবে। ৬ চাকার ওই অনুসন্ধানযান মঙ্গলপৃষ্ঠের ছবি তুলবে, মাটির প্রকৃতি বিশ্লেষণ করবে এবং সেই সব ছবি ও তথ্য পাঠাতে থাকবে।
Source: zee24Ghanta
মঙ্গলের সেই শুকিয়ে যাওয়া নদীর ব-দ্বীপের ছবি তুলে পাঠাল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’র রোবট-যান ‘পারসিভের্যান্স’
২৭ ফেব্রু: গ্রহাণুর ধাক্কায় শুকিয়ে গিয়েছিল নদীর জল। সে প্রায় ৪০০ কোটি বছর আগের ঘটনা। এ বার মঙ্গলের সেই শুকিয়ে যাওয়া নদীর ব-দ্বীপের ছবি তুলে পাঠাল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’র রোবট-যান ‘পারসিভের্যান্স’। শুধু মজে যাওয়া নদীর ব-দ্বীপই নয়, এবড়ো খেবড়ো পাথুরে জমি, মেটে রঙে একাকার হয়ে যাওয়া মাটি ও আকাশ, ধূ ধূ প্রান্তর, এ সবই ধরা পড়েছে ওই রোবট-যানের ক্যামেরায়। মঙ্গলে বসতি সরিয়ে যাওয়ার স্বপ্নে যখন মশগুল গোটা বিশ্ব, ঠিক সেই সময় এই ছবির দৌলতে ঘরে বসেই সেরে ফেলা যাচ্ছে লালগ্রহ-দর্শন।
এই মুহূর্তে মঙ্গলের জেজেরো গহ্বরে অবস্থান করছে ‘পারসিভের্যান্স’। সেখান থেকেই পারিপার্শ্বিক দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছে তার ১৩৫-৪০০ মিলিমিটারের মাস্টক্যাম-জেড ডুয়াল ক্যামেরা, যার লেন্স দিয়ে তোলা ছবি ৩০ হাজার পিক্সেল পর্যন্ত জুম করে দেখা যায়। নাসার তরফে যে দৃশ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বহু দূরে অবস্থিত দুরারোহ পর্বতগাত্রও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। এমনকি ৩ থেকে ৫ মিলিমিটার পর্যন্ত বস্তুকেও স্পষ্ট দেখা সম্ভব এই ছবিতে। ওই উচ্চশক্তিসম্পন্ন ক্যামেরা থ্রি-ডি ছবি এবং ভিডিয়ো তুলতেও সক্ষম। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলপৃষ্ঠ থেকে কোন নুড়ি এবং পাথর পরীক্ষার জন্য পৃথিবীতে আনা হবে, তা ওই ক্যামেরার মাধ্যমেই ঠিক হবে। অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির স্কুল অব আর্থ অ্যান্ড স্পেস এক্সপ্লোরেশন এবং সান দিয়েগোর মালেনি স্পেস সায়েন্স সিস্টেমস মিলে মাস্টক্যাম-জেড-এর খুঁটিনাটি সমস্ত যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি তৈরি করেছে।
কোনও কালে মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না জানতে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের মাটি ছোঁয় ‘পারসিভের্যান্স’। আগামী কয়েক বছর মাটি খুঁড়ে সেখান থেকে পাথর, জীবাশ্ম এবং মাটির নমুনা সংগ্রহ করে ২০৩০ নাগাদ পৃথিবীতে পাঠানোই কাজ সেটির। গবেষণাগারে সেগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন বিজ্ঞানীরা। জানাবেন, লালগ্রহকে আদৌ মানুষের বসবাসের উপযুক্ত করে তোলা যাবে কি না।
Source: Anandabazar patrika