পৃথিবীর অনুসূর অবস্থা
২ রা জানুয়ারী, ২০২১ সালে পৃথিবীর অনুসূর (Perihelion)। সূর্যের চারদিকে কোন গ্রহের কক্ষপথের নিকটতম বিন্দুকে অনুসূর এবং দূরতম বিন্দুকে অপসূর বলে। আমাদের সৌরজগতের গ্রহরা সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। গ্রহদের কক্ষপথ ছড়ানো, অনেকটা ডিম্বাকৃতির। আরো সঠিক করে বললে উপবৃত্তাকার। আর এই উপবৃত্তাকার হবার কারণেই সূর্য থেকে গ্রহদের দূরত্ব নির্দিষ্ট থাকে না। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে আসার সময় পৃথিবী (অন্য গ্রহসমূহ, গ্রহাণু, ধূমকেতুরাও) প্রতি বছর এক বার করে অপসূর ও অনুসূর অবস্থান পৌঁছায়। সাধারণত জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে নিকটে ও জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে সবচেয়ে দূরে থাকে। আমরা জানি, জানুয়ারি মাসে ভারত সহ পুরো উত্তর গোলার্ধে শীতকাল থাকে। তাহলে শীতকালে সূর্য আমাদের সবচেয়ে কাছে থাকে - এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? হ্যাঁ এটাই বাস্তবতা। আসলে শীত বা গরম পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বের উপর নির্ভর করে না বললেই চলে। এটা নির্ভর করে পৃথিবীর কক্ষীয় নতির উপর। আর অনুসূর অবস্থানে পৃথিবীর দক্ষিন গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল থাকে। অনুসূর অবস্থানে থাকার সময় সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব থাকে ৯ কোটি ১০ লক্ষ মাইল বা ১৪ কোটি ৭০ লক্ষ কিমি। অন্য দিকে অপসূর অবস্থানে এই দূরত্ব হচ্ছে ৯ কোটি ৫০ লক্ষ মাইল বা ১৫ কোটি ২০ লক্ষ কিমি। প্রতিবছর এই দূরত্বগুলির কিছুটা হেরফের হয়। ২০২১ সালের ২রা জানুয়ারী অর্থাৎ আজ সূর্য থেকে পৃথিবী সবচেয়ে কম দূরত্বে অবস্থান করছে, অর্থাৎ এবছর আজ অনুসূর। এদিন সূর্য থেকে পৃথিবীর অনুসূর অবস্থানের দূরত্ব হল ১৪,৭০,৯৩,১৬৩ কিমি।
শেষ ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে জোরে ঘুরছে পৃথিবী
১০,জানু: বিগত ৫০ বছরের তুলনায় পৃথিবী সময়ের চেয়ে দ্রুত গতিতে চলেছে। কীভাবে এবার এই ব্যাপারকে সামলানো যায় তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বিজ্ঞানীরাও। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, পৃথিবী ২৪ ঘন্টার আগেই তার নিজের অক্ষের উপর ঘোরা সম্পন্ন করে ফেলছে। গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে এই পরিবর্তন এসেছে বলে জানানো হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল কত দ্রুত গতিতে চলছে? কীভাবে এটি আমাদের জীবনে প্রভাব ফেলবে?
পৃথিবী ২৪ ঘন্টায় তার অক্ষের ওপর একবার পাক খায়। তবে গত বছর জুন থেকে এখন অবধি পৃথিবীটি নিজের অক্ষের উপর দিয়ে দ্রুত গতিতে চলেছে। এ কারণে পৃথিবীর সমস্ত দেশের সময় বদলে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের নিজ নিজ জায়গায় থাকা অ্যাটোমিক ঘড়ির সময় পরিবর্তন করতে হবে। অর্থাৎ এবার বিজ্ঞানীদের তাদের ঘড়িতে নেতিবাচক লিপ সেকেন্ড যুক্ত করতে হবে। ১৯৭০ সাল থেকে এখন অবধি ২৭ লিপ সেকেন্ড যুক্ত করা হয়েছে।
ব্রিটিশ ওয়েবসাইট ডেইলি মেইলে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, বিগত বেশ কয়েক দশক ধরে, পৃথিবী ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তার অক্ষের ওপর ঘোরে। তবে গত বছরের জুন থেকে ২৪ ঘন্টার কম সময়ের মধ্যে ঘূর্ণন শেষ করছে। এই মুহুর্তে, পৃথিবী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ০.৫ মিলি সেকেন্ডের কম সময় নিয়ে ঘুরছে। যার ফলে আমাদের ২৪ ঘন্টা থেকে ০.৫ মিলি সেকেন্ড কমে গেছে।২৪ ঘন্টার মধ্যে ৮৬,৪০০ সেকেন্ড হয়। গত বছরের জুন থেকে এই ৮৬,৪০০ সেকেন্ড থেকে ০.৫ মিলিসেকেন্ড হ্রাস পেয়েছে। ১৯ জুলাই দিনটি ২৪ ঘন্টার থেকে ১.৪৬০২ মিলি সেকেন্ড কম ছিল। এর আগের সবচেয়ে ছোট দিনটি ছিল ২০০৫ সালে। তবে গত একবছরে এই রেকর্ড মোট ২৮ বার ভেঙে পড়েছে। সময়ের এই পরিবর্তনটি কেবল অ্যাটোমিক ঘড়িতে দেখা যায়। তবে এর কারণে অনেক সমস্যা আসতে পারে। আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক সমস্যা হতে পারে। কারণ আমাদের স্যাটেলাইট, এবং যোগাযোগ ডিভাইসগুলি সৌর সময় অনুসারে সেট করা আছে। এই সময় তারা, চাঁদ এবং সূর্যের অবস্থান অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।
ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প, মৃত ৭ আহত কয়েকশো
১৫ জানু: শুক্রবার ভোরের দিকে ইন্দোনেশিয়ার সুলায়েসি দ্বীপে (Indonesia's Sulawesi island) এই কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৬.২। কম্পনের উৎসস্থল ম্যাজিন শহরের (Majene city)উত্তর-পূর্বে ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে। তবে এখনও পর্যন্ত দেশের আবহাওয়াবিদেরা ( Meteorology, Climatology and Geophysics Agency) সুনামির (tsunami) কোনও সতর্কতা জারি করেননি।
একটি হাসপাতাল ভেঙে পড়েছে। রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা মাটির নীচে চাপা পড়েছেন। তাঁদের উদ্ধারের কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ম্যাজিনে (Majene city)৪ জন এবং মামুজু (Mamuju)-তে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৭০০ মানুষ। মৃত এবং আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা।
Source: zee24Ghanta
বৃহস্পতির চাঁদ গ্যানিমেডে এফএম রেডিও সিগন্যাল, ধরা পড়ল NASA-র স্পেসক্রাফ্টে!
১৬ জানু: এবার বৃহস্পতির চাঁদ গ্যানিমেডে অনুভূত হল রেডিও সিগনাল। আর সম্প্রতি সেই তরঙ্গ চিহ্নিত করল NASA-র একটি স্পেসক্রাফ্ট। সাধারণত, রেডিও তরঙ্গ বা FM সিগন্যাল কোনও জীব থাকার ইঙ্গিত বা যোগাযোগের বিষয়টিকে তুলে ধরে। এর জেরে অনেকেই বৃহস্পতির চাঁদে এলিয়েনের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন। তবে জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন মহাকাশ-বিজ্ঞানীরা স্বয়ং। তাঁদের কথায়, আপাতত এরকম কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতির কোনও প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার জেরেই এই রেডিও তরঙ্গের উৎপত্তি।
NASA-র তরফে জানা গিয়েছে, JUNO নামের এক স্পেসক্রাফ্টে ধরা পড়েছে এই এফএম রেডিও সিগন্যাল। বৃহস্পতির কক্ষপথ ধরেই প্রদক্ষিণ করছিল মহাকাশযানটি। এমন সময়ে বৃহস্পতির চাঁদ গ্যানিমেড (Ganymede) থেকে তরঙ্গের বিষয়টি অনুধাবন করতে সক্ষম হয় JUNO। উল্লেখ্য বৃহস্পতির ৭৯টি চাঁদের মধ্যে অন্যতম চাঁদ হল গ্যানিমেড। এর আগে কখনও এই চাঁদ থেকে কোনও রকম তরঙ্গ বা এফএম সিগন্যাল ধরা পড়েনি। তাই ক্রমেই জল্পনা বাড়ছে। মহাকাশ-বিজ্ঞানীদের কথায়, মূলত ইলেকট্রন থেকে এই ধরনের তরঙ্গ বা সিগন্যাল সৃষ্টি হয়। এই গ্রহে হ য়তো কোনও প্রাকৃতিক পরিবর্তন ঘটে থাকবে। আর এর জেরেই এমন তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে সাইক্লোট্রন ম্যাসার ইনস্ট্যাবিলিটি (cyclotron Maser Instability) নামে এক প্রক্রিয়ার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। সাধারণত কোনও তড়িৎ-চুম্বকীয় ক্ষেত্রে ঘটে থাকে এই ধরনের প্রক্রিয়া। এর জেরে ইলেকট্রনের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়। আর আশপাশের এলাকায় একটি ফ্রিকোয়েন্সি অনুভূত হয়। JUNO স্পেসক্রাফ্টটি সেই ফ্রিকোয়েন্সি ধরতে সক্ষম হয়েছে।
Source: News18Bangla
২০১৮-র পর আবারও সাহারায় বরফ!
২০,জানু: সাহারা শব্দটা মাথা আসলেই চোখে ভেসে ওঠে ধূ-ধূ মরুভূমি। তীব্র গরম। ঝলসানো রোদ। কিন্তু এই মরুভূমিতেই যদি সাদা সাদা বরফ খুঁজে পাওয়া যায়? বিশ্বাস হবে না নিশ্চয়ই? অনেকেরই মনে হতে পারে যেখানে তাপমাত্রা এত বেশি থাকে, সেখানে বরফ? হ্যাঁ, সেখানেই বরফ পড়েছে এই বছর। এটা কোনও ম্যাজিক নয়। জানা যাচ্ছে, সাহারার তাপমাত্রা এবার শীতে মাইনাস ২ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে এবং তার জন্যই বরফ পড়েছে এই এলাকায়।
সম্প্রতি এক ফটোগ্রাফার করিম বুচেতাতা সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ছবি শেয়ার করেন। যাতে দেখা যায়, মরুভূমির উপরে তুলোর মতো ছড়িয়ে আছে কিছু। যা দেখে প্রথমে অনেকেই বিশ্বাস করতে চাননি যে এটা বরফ হতে পারে। কিন্ত পরে জানা যায়, এ বছর মাইনাস ২, এমনকি মাইনাস ৩ ডিগ্রিরও নিচে নেমে গিয়েছিল মরুভূমির তাপমাত্রা। আর তার জন্যই বরফ পড়েছে এই সব এলাকায়।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য তাপমাত্রা পরিবর্তন হয়েছে মরুভূমি এলাকায়। শুধু সাহারাই নয়, আফ্রিকা ও এশিয়ার আরও অনেক মরুভূমিতেই একই ছবি দেখা গিয়েছে। যেমন অ্যাটলাস পর্বতের উপর এইন সেফ্রা। মরুভূমির প্রবেশদ্বার নামে পরিচিত এই শহর সমুদ্র উপকূল থেকে ১০০০ মিটার উপর থেকে শুরু হয়েছে। এটি প্রচণ্ড উষ্ণ এলাকা নামেই পরিচিত। কিন্তু এই অংশেও বরফ দেখা গিয়েছে এই বছরে। গত ৪২ বছরে এই নিয়ে চার বার বরফ দেখা গেল সাহারা মরুভূমিতে। ১৯৭৯ সালে প্রথম এই এইন সেফ্রাতেই বরফ দেখা গিয়েছিল। তার পর ২০১৬-র ডিসেম্বরে ও ২০১৮-র ডিসেম্বরে প্রায় ১৬ ইঞ্চি করে জায়গা বরফে ঢেকে যায়। এই হঠাৎ বরফ পড়ায় স্বভাবতই সমস্যায় পড়ে জনজীবন। এত গরম থেকে হঠাৎ এতটা ঠাণ্ডা মানিয়ে নিতে সমস্যা হয় তাদের।
সকলেই জানে মরুভূমি মানেই প্রখর রোদ ও প্রচন্ড গরম। সঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়া। কিন্তু এখানকার তাপমাত্রাই রাতের দিকে দ্রুত কমতে শুরু করে। এবার বাতাস ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘুরতে ঘুরতে উচ্চ চাপ তৈরি করে উত্তর গোলার্ধে। এবং এর ফলে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবেশ করে। তাই এই ধরনের ঘটনা মাঝে মধ্যে দেখা যেতে পারে। দেখা গিয়েছে ইয়োরোপে উচ্চ চাপ তৈরি হওয়ায় তা অনেক সময়ে মহাসাগরীয় ঠাণ্ডা বাতাস অন্য দিকে সরিয়ে দিয়েছে এবং এর ফলে দক্ষিণ ইউরোপের সাহারার অংশে, বিশেষ করে এইন সেফ্রায় বরফ পড়েছে। বেশ কিছু রিপোর্ট বলছে, বিশ্ব উষ্ণায়ন ও তার ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই এমন হচ্ছে। অনেকে বলছেন, সাহারায় বৃষ্টিপাতের তারতম্যের ফলেও সেখানকার তাপমাত্রায় তারতম্য দেখা দিচ্ছে। যার ফলেও এই বরফ পড়তে পারে।
Source: News18Bangla
হাজার ফুট গভীর সমুদ্রের হদিশ মিলল শনির উপগ্রহে, অবাক বিজ্ঞানীরা
২৫,জানু: বিরাটাকার সমুদ্রের হদিশ মিলল মহাকাশে। মহাজাগতিক রহস্য উদঘাটনে ব্যস্ত বিজ্ঞানীদের হাতে নয়া তথ্য। যা দেখে অবাক তাঁরা। প্রায় হাজারের বেশি ফুট গভীরের সমুদ্রের খোঁজ মিলেছে শনির (Saturn) উপগ্রহ টাইটানে (Titan)। যার আয়তন এতটাই বেশি যে সাবমেরিন চলাচল করতে পারে। সেই সমুদ্রের তলদেশে কী আছে তা জানতে মগ্ন বিজ্ঞানীরা।
জলাশয়ের সঙ্গে মিল আছে পৃথিবীর। বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে পৃথিবী জন্মলগ্নে যেমন দেখতে ছিল,টাইটানের এখন সেই রূপ। এর আগে শনির উত্তরমেরুতে পাওয়া গিয়েছিল ক্র্যাকেন মেয়ার (Kraken Mare) নামে এক বড়সড় জলাশয়। যার মধ্যে ছিল ইথেন এবং মিথেন গ্যাসের তরল আকার। যার আয়তন ১ লক্ষ ৫৪ হাজার বর্গ মাইল। তবে টাইটানে কীভাবে এত জল আছে, তা জানতে মিথেন গ্যাসের পরীক্ষা করার পথে এগোচ্ছে বিজ্ঞানীরা। তাই নিয়েই বোঝা যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। শনির উপগ্রহের সুমদ্রের গভীরতা নিয়ে গবেষণা করা হবে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সেইখানে সাবমেরিন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তাঁরা। তার জন্য দেখতে হবে জলের ঘনত্ব, প্রবাহ, মধ্যাকর্ষণ শক্তি, জলের প্রবাহ।
Source: zee24Ghanta
No comments:
Post a Comment