Welcome to GEO HUB (Enhance Your Geo Knowledge) Ghoralia, Santipur, Nadia, West Bengal-741404, Mobile: 8926495022 email: geohubghoralia@gmail.com

Diable copy paste

Friday 28 January 2022

রক্ত চন্দন(Red Sandalwood)

 রক্তচন্দন বা লাল চন্দন একটি ভেজষ উদ্ভিদ। এটি রঞ্জনা নামেও পরিচিত। এর ইংরেজি নাম Red Sandalwood, আর বৈজ্ঞানিক নাম আডেন্থের পাভোনিনা (Adenanthera Pavonia)। অন্যান্য স্থানীয় নামের মধ্যে Red Sandalwood, Coral-wood, Peacock flower fence, Red beadtree উল্লেখযোগ্য। এটি Fabaceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ। এটা ব্রাজিল, বাংলাদেশ, ভারতসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। এটি দেখতে কিছুটা লালচে হয়ে থাকে। এই গাছের উচ্চতা  সাধারণত ২০ থেকে ২৫ ফিট হয়ে থাকে।



এই গাছের বহুমুখী উপকারিতা রয়েছে। মূলত রূপচর্চা ও ভেষজ বা আয়ুর্বেদ চিকিৎসার কাজে চন্দন কাঠ বহুল ব্যবহার হয়ে থাকে।  রুপ চর্চায় এর ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে। এন্টিসেপ্টিক হিসাবে, বাতের ব্যথায় ও এন্টিইনফ্লামেশনে এর ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। 


রক্ত চন্দন গুড়া রুপচর্চা তে বিশেষ ভুমিকা পালন করছে।ত্বকের যত্নে রক্ত চন্দন গুড়ার ব্যবহার অপরিসীম। এখন জেনে নেয়া যাক এর উপকারীতা এবং ব্যবহার বিধিঃ


ত্বকের যত্নেঃ

উপকারীতা-


১।রক্ত চন্দনের মধ্যে এন্টিসেপটিক,এন্টি ইনফ্ল্যামেটরি,এন্টি এজিং উপাদান রয়েছে যার জন্য ব্রণ,ফোড়া,ফুস্কুরি দূর করতে সাহায্য করে। 

২।কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

৩।এছাড়া এর মধ্যে ত্বককে শীতল,প্রাণবন্ত করার শক্তি রয়েছে যেটি রোদে পোড়া ভাব,বলিরেখা পড়তে দেয় না।

৪।সব ধরণের স্কিনের মানুষ এটা ব্যবহার করতে পারবে।

৫।নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।



রক্ত চন্দন(Red Sandalwood) রক্ত চন্দন গুড়া রুপচর্চা তে বিশেষ ভুমিকা পালন করছে।ত্বকের যত্নে রক্ত চন্দন গুড়ার ব্যবহার অপরিসীম। এখন জেনে নেয়া যাক এর উপকারীতা - 

১।রক্ত চন্দনের মধ্যে এন্টিসেপটিক,এন্টি ইনফ্ল্যামেটরি,এন্টি এজিং উপাদান রয়েছে যার জন্য ব্রণ,ফোড়া,ফুস্কুরি দূর করতে সাহায্য করে। 

২।কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। 

৩।এছাড়া এর মধ্যে ত্বককে শীতল,প্রাণবন্ত করার শক্তি রয়েছে যেটি রোদে পোড়া ভাব,বলিরেখা পড়তে দেয় না। 

৪।সব ধরণের স্কিনের মানুষ এটা ব্যবহার করতে পারবে।

৫।নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। 

Sunday 2 January 2022

পৃথিবীর অনুসূর (Perihelion) অবস্থান

 আমাদের সৌরজগতের গ্রহরা সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। গ্রহদের কক্ষপথ ছড়ানো, অনেকটা ডিম্বাকৃতির। আরো সঠিক করে বললে উপবৃত্তাকার। আর এই উপবৃত্তাকার হওয়ার কারণেই সূর্য থেকে গ্রহদের দূরত্ব নির্দিষ্ট থাকে না। পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব প্রায় 15 কোটি কিমি। সূর্যের চারদিকে কোন গ্রহের কক্ষপথের নিকটতম বিন্দুকে অনুসূর এবং দূরতম বিন্দুকে অপসূর বলে।



সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে আসার সময় পৃথিবী (অন্য গ্রহসমূহ, গ্রহাণু, ধূমকেতুরাও) প্রতি বছর এক বার করে অনুসূর ও অপসূর অবস্থান পৌঁছায়। সাধারণত জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে নিকটে থাকে। প্রতিবছর কোনো একটি নির্দিষ্ট তারিখে অনুসূর ও অপসূর ঘটেনা। তবুও প্রচলিত মতে, ৩ রা জানুয়ারী অনুসূর ও ৪ ঠা জুলাই অপসূর হিসেবে ধরা হয়। আমরা জানি, জানুয়ারি মাসে ভারত সহ পুরো উত্তর গোলার্ধে শীতকাল থাকে। তাহলে শীতকালে সূর্য আমাদের সবচেয়ে কাছে থাকে - এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? হ্যাঁ এটাই বাস্তবতা। আসলে শীত বা গরম পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বের উপর নির্ভর করে না বললেই চলে। এটা নির্ভর করে পৃথিবীর কক্ষীয় নতির উপর। আর অনুসূর অবস্থানে পৃথিবীর দক্ষিন গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল থাকে। অনুসূর অবস্থানে থাকার সময় সূর্য থেকে পৃথিবীর গড় দূরত্ব থাকে ৯ কোটি ১০ লক্ষ মাইল বা ১৪ কোটি ৭০ লক্ষ কিমি। প্রতিবছর এই দূরত্বগুলির কিছুটা হেরফের হয়। ২০২২ সালে অর্থাৎ এবছর ৪ ঠা জানুয়ারী হল অনুসূর। এবছর সূর্য থেকে পৃথিবীর অনুসূর অবস্থানের দূরত্ব হল ১৪,৭১,০৫,০৫২ কিমি। 

 অনুসূর অবস্থানের জন্য ডিসেম্বর জানুয়ারি মাাসে বা শীতকালে পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে সূর্যকে সামান্য বড় দেখায় এবং পৃথিবীর পরিক্রমনের বেগও সামান্য বেড়ে যায়।


তথ্যসূত্র:
1. Wikipedia,
2. bn.quora.com



লেখক:

অয়ন বিশ্বাস
বি.এসসি, এম.এ(ভূগোল), বি. এড্
ঘোড়ালিয়া, শান্তিপুর, নদিয়া।


.........................................................................................................
লেখকের লিখিত অনুমতি ছাড়া সমগ্র বা আংশিক অংশ প্রতিলিপি করা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। কোন তথ্যের সমগ্র আংশিক ব্যবহার মুদ্রণ বা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে (জিংক, টেক, স্ক্যান, পিডিএফ ইত্যাদি) পুনরুৎপাদন করা নিষিদ্ধ।