লাদাখ। শব্দটি কানে আসতেই মনের অজান্তেই একটি নিজস্ব চিত্র ভেসে আসে। সেই চিত্রের রুপকল্পে আমরা চিরসুন্দর প্রকৃতি থেকে শুরু করে চিরসুখী মানুষদেরও কল্পনা করি। অবশ্য এই রূপকল্পটা যে খুব একটা অতিরঞ্জিত, তা কিন্তু নয়। মুঘল সম্রাট শাহজাহান একবার বলেছিলেন, পৃথিবীতে যদি স্বর্গ বলে কোনো স্থান থাকে তবে সেটা কাশ্মির। তবে শাহজাহান যদি একবার অন্তত লাদাখ ঘুরে আসতে পারতেন তাহলে নিশ্চিত তার স্বর্গের ঠিকানা পাল্টে যেত। অথবা, এমনও হতে পারে যে তিনি কাশ্মির বলে ওই গোটা অঞ্চলটিকেই বুঝিয়েছিলেন।
লাদাখ মানেই স্বর্গীয় সৌন্দর্যের রূপকথার দেশ। প্রকৃতি তার সকল সৌন্দর্য উজাড় করে দিয়েছে এখানে। চিরসুন্দর প্রকৃতি থেকে শুরু করে এখানকার মানুষ, সংস্কৃতি সবকিছুই যেন এক স্নিগ্ধতায় পরিপূর্ণ। লাদাখের অপার সৌন্দর্যে হারাতে তাই পর্যটকরা ছুটে আসেন এখানে। স্বর্গীয় সৌন্দর্যের মাঝে প্রকৃতির কাছে নিজেকে সঁপে দেন। লেহ লাদাখের প্রতিটি জায়গায়ই রয়েছে সৌন্দর্যের এক অনন্য মাত্রা। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বাহিরেও এখানে আছে রহস্যময়তা। রহস্যেঘেরা এই জায়গাটিতেই অবস্থিত ‘চুম্বক পাহাড়’ বা ম্যাগনেটিক হিল (Magnetic Hill)।
পাহাড়টি নিমুর ৭.৫ কিমি. দক্ষিণ-পূর্বে এবং লের শ্রীনগর-লাদাখ রোডের ২৬.৫ কিমি পশ্চিমে অবস্থিত।শ্রীনগর-লেহ মূল সড়ক দিয়ে গেলে খুব সহজেই এই পাহাড়টি দেখতে পাবেন এবং সড়কটিও এই পাহাড়ের উপর দিয়েই গেছে। চমৎকার সৌন্দর্যের এই সড়কে দিয়ে যাওয়ার সময় প্রত্যক্ষ করতে পারবেন অদ্ভুত এক ব্যাপার। লাদাখের এই পাহাড়কে ‘চুম্বক পাহাড়’ বলে ডাকা হয়। না, এর সেই কিংবদন্তির সামুদ্রিক পাহাড়ের মতো বিধ্বংসী ক্ষমতা নেই। এ যেটা করে থাকে, সেটাও কম আশ্চর্যের নয়। এই পাহাড়ের চূড়ার দিকে যে সড়ক গিয়েছে তা বরাবর গাড়ি চালিয়ে যেতে যেতে যদি কেউ গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে দেন এবং গিয়ারকে নিউট্রাল পজিশনে রাখেন, তবে দেখ যাবে সেই গাড়ি খাড়া রাস্তা বেয়ে নিজে নিজেই চলতে শুরু করেছে। এবং তার গতি নেহাত মন্দ নয়। ২০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা বেগে সেই গাড়ি উপর দিকে ধাবিত হতে থাকবে। এহেন মজার কারণে ‘ম্যাগনেটিক হিল’ আজ একটি জনপ্রিয় পর্যটনক্ষেত্র।
এই চুম্বক পাহাড় নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা গল্পকথা চালু রয়েছে। কেউ কেউ এসব ঘটনার মধ্যে ঐশ্বরিক বা অতিপ্রাকৃত শক্তির প্রভাব আছে বলে মনে করে থাকেন। লেহ থেকে কারগিলের সড়ক পথে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা এড়াতে লাদাখ প্রশাসন ওই সড়কটির দুই প্রান্তে বর্তমানে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড বসিয়েছে।
স্থানীয়দের বিশ্বাস, রাজধানী লে-র কাছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১,০০০ ফিট উঁচু এই পাহাড়ে রয়েছে তীব্র চৌম্বকশক্তি। তার টানেই পাহাড়ের ঢাল বেয়ে উঠে যায় বন্ধ গাড়ি। বাস্তবে কিন্তু ওই পাহাড়ে এমন কোনও চৌম্বকশক্তির অস্তিত্ব নেই। ওই এলাকায় যা ঘটে, তা একেবারেই দৃষ্টিভ্রম। চুম্বক পাহাড় আসলে ভারতের লাদাখের লে-র কাছে অবস্থিত একচক্ষু দৈত্যের মতো দেখতে এক পাহাড়। এই এলাকার বিন্যাস এবং চারপাশের ঢাল একটা পাহাড়ের আলোক-বিভ্রম তৈরি করে। এখানকার পাহাড়ি রাস্তা আসলে একটা নিম্নগামী পাহাড়ি রাস্তা। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিরুদ্ধতায় এই রাস্তায় থাকা বস্তুসমূহ ও গাড়িগুলি ঢালু পথ বেয়ে নামার সময় মনে হয় যেন তারা পাহাড়ের গা বেয়ে উপরের দিকে উঠছে।
স্থানীয়দের বিশ্বাস, রাজধানী লে-র কাছে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১,০০০ ফিট উঁচু এই পাহাড়ে রয়েছে তীব্র চৌম্বকশক্তি। তার টানেই পাহাড়ের ঢাল বেয়ে উঠে যায় বন্ধ গাড়ি। বাস্তবে কিন্তু ওই পাহাড়ে এমন কোনও চৌম্বকশক্তির অস্তিত্ব নেই। ওই এলাকায় যা ঘটে, তা একেবারেই দৃষ্টিভ্রম। চুম্বক পাহাড় আসলে ভারতের লাদাখের লে-র কাছে অবস্থিত একচক্ষু দৈত্যের মতো দেখতে এক পাহাড়। এই এলাকার বিন্যাস এবং চারপাশের ঢাল একটা পাহাড়ের আলোক-বিভ্রম তৈরি করে। এখানকার পাহাড়ি রাস্তা আসলে একটা নিম্নগামী পাহাড়ি রাস্তা। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিরুদ্ধতায় এই রাস্তায় থাকা বস্তুসমূহ ও গাড়িগুলি ঢালু পথ বেয়ে নামার সময় মনে হয় যেন তারা পাহাড়ের গা বেয়ে উপরের দিকে উঠছে।
তথ্যসূত্র:
1. https://ebela.in
2. https://labanglatimes.com
3. https://dailyhunt.in
4. https://www.anandabazar.com
5. www.eisamay.indiatimes.com
6. https://bn.m.wikipedia.org
লেখক:
অয়ন বিশ্বাস
বি.এসসি, এম.এ(ভূগোল), বি. এড্
ঘোড়ালিয়া, শান্তিপুর, নদিয়া।
বি.এসসি, এম.এ(ভূগোল), বি. এড্
ঘোড়ালিয়া, শান্তিপুর, নদিয়া।
.........................................................................................................
লেখকের লিখিত অনুমতি ছাড়া সমগ্র বা আংশিক অংশ প্রতিলিপি করা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। কোন তথ্যের সমগ্র আংশিক ব্যবহার মুদ্রণ বা যান্ত্রিক পদ্ধতিতে (জিংক, টেক, স্ক্যান, পিডিএফ ইত্যাদি) পুনরুৎপাদন করা নিষিদ্ধ। এই শর্ত লঙ্খন করা হলে আইনের সাহায্য নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।