সুবর্ণরেখা নদী
উৎস: ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ছোটনাগপুর মালভূমিতে রাঁচির নিকট
অববাহিকা: ঝাড়খণ্ড পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশা
মোহনা: বঙ্গোপসাগর
দৈর্ঘ্য: ৩৯৫ কিলোমিটার (২৪৫ মাইল)
অববাহিকার দৈর্ঘ্য : ১৮,৯৫১ বর্গকিলোমিটার (৭,৩১৭ বর্গ মাইল )
উপনদী :
বাম তীরের উপনদী - ডুলাং।
ডান তীরের উপনদী - কাঞ্চি, খারকাই, Raru River, Garru River
সুবর্ণরেখা নদী রাঁচির কাছে হুডু জলপ্রপাত থেকে উৎপন্ন হয়ে ঝাড়খন্ডের সিঙভূম জেলার মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা হয়ে ঊড়িষায় প্রবেশ করে। ঊড়িষ্যার রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ঊড়িষার তালসারি এর কাছে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।এই নদীর মোট দৈর্ঘ্য হল ৩৯৫ কিমি।
সুবর্ণরেখা নদীর গতিপথে রয়েছে বেশ কয়েকটি উপনদী। এর বাম তীরের উপনদী হল - ডুলাং। ডান তীরের উপনদী গুলি হল - কাঞ্চি, খারকাই, Raru River, Garru River
এই নদীতীরের বালুচরে অনেক সময় স্বর্ণরেনু পাওয়া যায়। সেই কারনে নদীটিকে সুবর্ণরেখা বলা হয়, অর্থাৎ সোনার রেখা।
ঝাড়খণ্ডের সুবর্ণরেখা নদী এর উৎপত্তি রাঁচির পিসকা গ্রাম থেকে। কথিত আছে একসময় নাকি এই গ্রামে সোনার খনি ছিল সেই জন্যই এই নদীর নাম সুবর্ণরেখা আর সেই খনি থেকে সোনা নদীতে মিশে যায়। বর্ষার পর সুবর্ণরেখা জল কমে গেলে তীরে নাকি সোনার টুকরো পরে থাকে এমনও শোনা গেছে। আজও দেখা যায় স্থানীয় মানুষেরা বালি থেকে সোনা খুঁজছেন।
বহু মানুষ নদীর বালি ছেঁকে সোনা অন্বেষন করেন। মূলত এভাবেও অনেক পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে।
সুবর্ণরেখার ডান তীরের উপনদী খারকাই জামশেদপুরের আদিত্যপুর এর উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে এ নদী। মাত্র 37 কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই নদীতে নাকি সোনা পাওয়া যায়। এখানেও স্থানীয় মানুষদের সোনার সন্ধান করতে দেখা যায়। তবে তাদের মতে সারাদিন খোঁজার পর চালের থেকেও ছোট আকারের সোনার টুকরো পাওয়া যায়।
অসংখ্য জাতি, উপজাতি বসবাস করে 'সুবর্ণরেখা' নদীর তীরে তীরে। সোনা সংগ্রহ, মৎস্য আহরণ তাদের উপজীবিকা। রাঁচির কাছে হুডু বা হুড্রু জলপ্রপাতটি অবস্থিত । এখানে প্রতিবছর বহু পর্যটক আসে জলপ্রপাতটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে। এটি রাঁচি তথা ঝাড়খন্ডের বিখ্যাত একটি পর্যটন কেন্দ্র।
বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র হুডু জলপ্রপাত ছাড়াও তামা খনি শহর ও স্বাস্থ্যকর নিবাসের জন্য খ্যাত ঘাটশিলা অঞ্চল 'সুবর্ণরেখা'র তীরে অবস্থিত।ঘাটশিলা অপর একটি পরিচিত পর্যটন স্থান। 'সুবর্ণরেখা'র তীর ঘেঁষে আরও রয়েছে গ্রামীণ ও আদিবাসী জনপদের অকৃতিম বহুবিচিত্র সংস্কৃতি।
পাণ্ডবদের পিতৃতর্পণের স্মৃতিতে সুবর্ণরেখা তীরে বসে বালিযাত্রা মেলা। সুবর্ণরেখা নদী যেখানে বাংলা থেকে ওড়িশায় ঢুকেছে সেই সব স্থান থেকে ৬০-৬২ কিলোমিটার দূরে করবনিয়ার মূল বালিযাত্রার স্থানে সকলে আসতে পারেন না বলে নদীর তীরে নানা স্থানে ছোট ছোট বালিযাত্রা মেলা হয়। দাঁতনের গরতপুর, সোনাকানিয়া এবং বেলমূলাতে, কেশিয়াড়ির ভসরাঘাটে এবং ওড়িশার জলেশ্বরের রাজঘাট ও মাকড়িয়ায় সুবর্ণরেখা নদীর তীরে চৈত্র সংক্রান্তির দিনেই বালিযাত্রা মেলা বসে।
তথ্যসূত্র:
1. www.newsg24.com
2. আনন্দবাজার পত্রিকা
3. www.barta24.com
4. www.wikipedia.org
লেখক:
উৎস: ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ছোটনাগপুর মালভূমিতে রাঁচির নিকট
অববাহিকা: ঝাড়খণ্ড পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশা
মোহনা: বঙ্গোপসাগর
দৈর্ঘ্য: ৩৯৫ কিলোমিটার (২৪৫ মাইল)
অববাহিকার দৈর্ঘ্য : ১৮,৯৫১ বর্গকিলোমিটার (৭,৩১৭ বর্গ মাইল )
উপনদী :
বাম তীরের উপনদী - ডুলাং।
ডান তীরের উপনদী - কাঞ্চি, খারকাই, Raru River, Garru River
সুবর্ণরেখা নদী রাঁচির কাছে হুডু জলপ্রপাত থেকে উৎপন্ন হয়ে ঝাড়খন্ডের সিঙভূম জেলার মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা হয়ে ঊড়িষায় প্রবেশ করে। ঊড়িষ্যার রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ঊড়িষার তালসারি এর কাছে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।এই নদীর মোট দৈর্ঘ্য হল ৩৯৫ কিমি।
সুবর্ণরেখা নদীর গতিপথে রয়েছে বেশ কয়েকটি উপনদী। এর বাম তীরের উপনদী হল - ডুলাং। ডান তীরের উপনদী গুলি হল - কাঞ্চি, খারকাই, Raru River, Garru River
এই নদীতীরের বালুচরে অনেক সময় স্বর্ণরেনু পাওয়া যায়। সেই কারনে নদীটিকে সুবর্ণরেখা বলা হয়, অর্থাৎ সোনার রেখা।
ঝাড়খণ্ডের সুবর্ণরেখা নদী এর উৎপত্তি রাঁচির পিসকা গ্রাম থেকে। কথিত আছে একসময় নাকি এই গ্রামে সোনার খনি ছিল সেই জন্যই এই নদীর নাম সুবর্ণরেখা আর সেই খনি থেকে সোনা নদীতে মিশে যায়। বর্ষার পর সুবর্ণরেখা জল কমে গেলে তীরে নাকি সোনার টুকরো পরে থাকে এমনও শোনা গেছে। আজও দেখা যায় স্থানীয় মানুষেরা বালি থেকে সোনা খুঁজছেন।
বহু মানুষ নদীর বালি ছেঁকে সোনা অন্বেষন করেন। মূলত এভাবেও অনেক পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে।
সুবর্ণরেখার ডান তীরের উপনদী খারকাই জামশেদপুরের আদিত্যপুর এর উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে এ নদী। মাত্র 37 কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই নদীতে নাকি সোনা পাওয়া যায়। এখানেও স্থানীয় মানুষদের সোনার সন্ধান করতে দেখা যায়। তবে তাদের মতে সারাদিন খোঁজার পর চালের থেকেও ছোট আকারের সোনার টুকরো পাওয়া যায়।
অসংখ্য জাতি, উপজাতি বসবাস করে 'সুবর্ণরেখা' নদীর তীরে তীরে। সোনা সংগ্রহ, মৎস্য আহরণ তাদের উপজীবিকা। রাঁচির কাছে হুডু বা হুড্রু জলপ্রপাতটি অবস্থিত । এখানে প্রতিবছর বহু পর্যটক আসে জলপ্রপাতটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে। এটি রাঁচি তথা ঝাড়খন্ডের বিখ্যাত একটি পর্যটন কেন্দ্র।
বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র হুডু জলপ্রপাত ছাড়াও তামা খনি শহর ও স্বাস্থ্যকর নিবাসের জন্য খ্যাত ঘাটশিলা অঞ্চল 'সুবর্ণরেখা'র তীরে অবস্থিত।ঘাটশিলা অপর একটি পরিচিত পর্যটন স্থান। 'সুবর্ণরেখা'র তীর ঘেঁষে আরও রয়েছে গ্রামীণ ও আদিবাসী জনপদের অকৃতিম বহুবিচিত্র সংস্কৃতি।
পাণ্ডবদের পিতৃতর্পণের স্মৃতিতে সুবর্ণরেখা তীরে বসে বালিযাত্রা মেলা। সুবর্ণরেখা নদী যেখানে বাংলা থেকে ওড়িশায় ঢুকেছে সেই সব স্থান থেকে ৬০-৬২ কিলোমিটার দূরে করবনিয়ার মূল বালিযাত্রার স্থানে সকলে আসতে পারেন না বলে নদীর তীরে নানা স্থানে ছোট ছোট বালিযাত্রা মেলা হয়। দাঁতনের গরতপুর, সোনাকানিয়া এবং বেলমূলাতে, কেশিয়াড়ির ভসরাঘাটে এবং ওড়িশার জলেশ্বরের রাজঘাট ও মাকড়িয়ায় সুবর্ণরেখা নদীর তীরে চৈত্র সংক্রান্তির দিনেই বালিযাত্রা মেলা বসে।
তথ্যসূত্র:
1. www.newsg24.com
2. আনন্দবাজার পত্রিকা
3. www.barta24.com
4. www.wikipedia.org
লেখক:
অয়ন বিশ্বাস
বি.এসসি, এম.এ(ভূগোল), বি. এড্
ঘোড়ালিয়া, শান্তিপুর, নদিয়া।
বি.এসসি, এম.এ(ভূগোল), বি. এড্
ঘোড়ালিয়া, শান্তিপুর, নদিয়া।
© GEO HUB (Enhance Your Geo Knowledge) # Ghoralia, Santipur, Nadia, Pin- 741404.
.........................................................................................................
লেখকের লিখিত অনুমতি ছাড়া সমগ্র বা আংশিক অংশ প্রতিলিপি
করা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। কোন তথ্যের সমগ্র আংশিক ব্যবহার মুদ্রণ বা
যান্ত্রিক পদ্ধতিতে (জিংক, টেক, স্ক্যান, পিডিএফ ইত্যাদি) পুনরুৎপাদন করা
নিষিদ্ধ। এই শর্ত লঙ্খন করা হলে আইনের সাহায্য নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে।
No comments:
Post a Comment