ছাতিম গাছ (ইংরেজি: Blackboard Tree) “অ্যাপোসাইনেসি” বর্গের অন্তর্ভুক্ত একটি উদ্ভিদ যার বৈজ্ঞানিক নাম: Alstonia scholaris। পুরাকালে ছাতিমের কাঠ দিয়ে শিশুদের লেখার জন্য তক্তা বানান হত। মনে করা হয় সেই কারণেই বৈজ্ঞানিক নামে “এলস্টোনিআ”-এর পর “স্কলারিস” কথাটি যোগ করা হয়েছে। ছাতিম গাছে সাতটি পাতা এক সঙ্গে থাকে বলে সংস্কৃত ভাষায় একে 'সপ্তপর্ণ' বা 'সপ্তপর্ণা' নামে ডাকা হয়।ছাতিম গাছ হল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য উদ্ভিদ।
শরতের এ সময়ে গাছজুড়ে শুধু ফুল আর ফুল। সাদা ফুলে পুরো গাছ ঢেকে থাকে। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকেই এ গাছের ফুলের ঘ্রাণ ছড়াতে থাকে।
ছাতিম গাছ ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। বহুশাখা বিশিষ্ট গাছটির ছাল গন্ধহীন, অসমতল ও ধুসর। ছাতিম পাতার উপরের দিক চকচকে আর তলার দিক ধূসর থাকে।এর শাখা পত্রমূলাবর্ত বিশিষ্ট। ১০ থেকে ১৫ সে. মি. লম্বা পাতা একই মূলাবর্তে ৪ থেকে ৭ টা পর্যন্ত থাকে। শাখার শীর্ষে সবুজ মেশানো সাদা রংয়ে থোকায় থোকায় ক্ষুদ্রাকৃতি ফুল ফোঁটে। ৩০ থেকে ৬০ সে.মি. লম্বা সরু ফল এক বৃন্তে সাধারণতঃ দুটো ক’রে ঝুলে থাকে। ছাতিমের বীজ লম্বাটে ডিম্বাকার, কিনারায় আঁশ থাকে আর শেষ প্রান্তে এক গোছা চুল থাকে। ছাতিম গাছের অভ্যন্তরে দুধের মতন সাদা এবং অত্যন্ত তেতো কষ প্রচুর পরিমাণে থাকে।
এর আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। ক্রান্তীয় অঞ্চলের এই গাছটি বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বত্র জন্মে। আর্দ্র, কর্দমাক্ত, জলসিক্ত স্থানে ছাতিম বেশি জন্মে। ভারতীয় উপমহাদেশের: বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকার, পাকিস্তান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া: কম্বোডিয়া, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাপুয়া-নিউগিনি , ফিলিপাইন, অস্ট্রেলিয়ার (কুইন্সল্যান্ড), চীনের (গুয়াংজি, ইউনান) I এছাড়াও অন্যান্য অনেক ক্রান্তীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলেও গাছটি পরবর্তীতে বিস্তার লাভ করেছে। এটি পশ্চিমবঙ্গের 'প্রাদেশিক বৃক্ষ'রূপে ঘোষিত হয়েছে।
ছাতিমের কষ অনেকে ওষুধরূপে ঘা বা ক্ষতে লাগিয়ে থাকেন। ছাতিম গাছের বাকল বা ছাল শুকিয়ে নিয়ে ওষুধের কাজে ব্যবহার করা হয়। চর্মরোগেও ছাতিম ফলপ্রদ। স্নায়ুর শক্তিসূত্রে অসাড়তা আনে বলে রক্তের চাপ কমাতে ছাতিম উপকারী।
ছাতিমের কাঠ দিয়ে খুব সাধারণ মানের আসবাবপত্র, প্যাকিং কেস, চায়ের পেটি, পেনসিল এবং দেশলাইযের কাঠি তৈরী হয়। ছাতিমের হালকা কাঠ দিয়ে শ্রীলংকায় কফিন বানানো হয়। এছাড়া এটি দিয়ে চামচ, কর্ক ইত্যাদি বানানো হয়।
এক সময় গ্রামের রাস্তার পাশে, বনে-জঙ্গলে অহরহ এই গাছ থাকলেও বর্তমানে খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না। দূর থেকে ভেসে আসা সুগন্ধ শুঁকে গাছটিকে খুঁজে নিতে হয়। নির্বিচারে গাছ কেটে বিক্রি করা বা বসতবাড়ি নির্মাণের ফলে অন্যান্য গাছের সঙ্গে উজার হতে হতে এখন এই ছাতিম গাছ খুব একটা দেখা যায় না।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বাইপাসের দু'দিকে ছাতিম গাছের বাগান গড়েছিল কেএমডিএ। দূষণ মোকাবিলার জন্যই গাছ লাগানো হয়েছে। সেখান থেকে গাছগুলি চুরি হয়েছে। কিন্তু এই হারে তা চুরি ও নির্বিচারে গাছ কেটে বিক্রি করা হলে সেই উদ্দেশ্য কতখানি সফল হবে, সে ব্যাপারে উঠছে প্রশ্ন।
এর আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। ক্রান্তীয় অঞ্চলের এই গাছটি বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বত্র জন্মে। আর্দ্র, কর্দমাক্ত, জলসিক্ত স্থানে ছাতিম বেশি জন্মে। ভারতীয় উপমহাদেশের: বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকার, পাকিস্তান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া: কম্বোডিয়া, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাপুয়া-নিউগিনি , ফিলিপাইন, অস্ট্রেলিয়ার (কুইন্সল্যান্ড), চীনের (গুয়াংজি, ইউনান) I এছাড়াও অন্যান্য অনেক ক্রান্তীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলেও গাছটি পরবর্তীতে বিস্তার লাভ করেছে। এটি পশ্চিমবঙ্গের 'প্রাদেশিক বৃক্ষ'রূপে ঘোষিত হয়েছে।
ছাতিমের কষ অনেকে ওষুধরূপে ঘা বা ক্ষতে লাগিয়ে থাকেন। ছাতিম গাছের বাকল বা ছাল শুকিয়ে নিয়ে ওষুধের কাজে ব্যবহার করা হয়। চর্মরোগেও ছাতিম ফলপ্রদ। স্নায়ুর শক্তিসূত্রে অসাড়তা আনে বলে রক্তের চাপ কমাতে ছাতিম উপকারী।
ছাতিমের কাঠ দিয়ে খুব সাধারণ মানের আসবাবপত্র, প্যাকিং কেস, চায়ের পেটি, পেনসিল এবং দেশলাইযের কাঠি তৈরী হয়। ছাতিমের হালকা কাঠ দিয়ে শ্রীলংকায় কফিন বানানো হয়। এছাড়া এটি দিয়ে চামচ, কর্ক ইত্যাদি বানানো হয়।
এক সময় গ্রামের রাস্তার পাশে, বনে-জঙ্গলে অহরহ এই গাছ থাকলেও বর্তমানে খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না। দূর থেকে ভেসে আসা সুগন্ধ শুঁকে গাছটিকে খুঁজে নিতে হয়। নির্বিচারে গাছ কেটে বিক্রি করা বা বসতবাড়ি নির্মাণের ফলে অন্যান্য গাছের সঙ্গে উজার হতে হতে এখন এই ছাতিম গাছ খুব একটা দেখা যায় না।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বাইপাসের দু'দিকে ছাতিম গাছের বাগান গড়েছিল কেএমডিএ। দূষণ মোকাবিলার জন্যই গাছ লাগানো হয়েছে। সেখান থেকে গাছগুলি চুরি হয়েছে। কিন্তু এই হারে তা চুরি ও নির্বিচারে গাছ কেটে বিক্রি করা হলে সেই উদ্দেশ্য কতখানি সফল হবে, সে ব্যাপারে উঠছে প্রশ্ন।
তথ্যসূত্র:
1) www.eisamay.indiatimes.com
3) www.wikipedia.org
লেখক:
অয়ন বিশ্বাস
বি.এসসি, এম.এ(ভূগোল), বি. এড্
ঘোড়ালিয়া, শান্তিপুর, নদিয়া।
বি.এসসি, এম.এ(ভূগোল), বি. এড্
ঘোড়ালিয়া, শান্তিপুর, নদিয়া।
© GEO HUB (Enhance Your Geo Knowledge) # Ghoralia, Santipur, Nadia, Pin- 741404.
.........................................................................................................
লেখকের লিখিত অনুমতি ছাড়া সমগ্র বা আংশিক অংশ প্রতিলিপি
করা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। কোন তথ্যের সমগ্র আংশিক ব্যবহার মুদ্রণ বা
যান্ত্রিক পদ্ধতিতে (জিংক, টেক, স্ক্যান, পিডিএফ ইত্যাদি) পুনরুৎপাদন করা
নিষিদ্ধ। এই শর্ত লঙ্খন করা হলে আইনের সাহায্য নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে।
No comments:
Post a Comment