মাঝে-মধ্যেই বিচিত্র সব ঘটনা পৃথিবীর মানুষকে বিস্মিত করে। তখন কল্পনাতেও আসে না কি রহস্য এই পৃথিবীতে লুকিয়ে রয়েছে। এমনই এক রহস্য হলো ‘ডেড ম্যানস ফিঙ্গার’।
মানুষের পায়ের আকৃতির মতো একটা কিছু, যার পাঁচটা আঙুল রয়েছে ও রয়েছে নখ আকৃতির বস্তু। দেখে প্রায় সবাই একমত হবে যে এগুলো আঙুল। তবে সেটা যে মানুষের পা নয়, তবে রঙটা তো মানুষ মানুষ নয় তা দেখেই বোঝা যায়। কার আঙুল এগুলো? শিম্পাঞ্জি, গোরিলা, এলিয়েন.... আসল উত্তর জানলে তাজ্জব হবেন!
এটি মানুষ বা কোনো পশুর পা নয়, এটি এক ধরনের ছত্রাক, যার নাম জাইলারিয়া পলিমরফা। চলতি ভাষায় একে বলা হয় মৃত মানুষের পা বা ‘ডেড ম্যানস ফিঙ্গারস' (Dead Man's Fingers) বা জাইলারিয়া পলিমোরফা (Xylaria polymorpha)।
জাইলারিয়া পলিমর্ফা, সাধারণত মৃত ব্যক্তির আঙ্গুল হিসাবে পরিচিত, এটি একটি স্যাপ্রোবিক ছত্রাক। এটি বন এবং কাঠের জমির একটি সাধারণ বাসিন্দা, সাধারণত পচা বা আহত গাছের স্টাম্প এবং ক্ষয়ে যাওয়া কাঠের গোড়া থেকে বেড়ে ওঠে। এটি উডি লেগিউম পোড, পেটিওলস এবং হার্বেসিয়াস স্টেমের মতো সাবস্ট্রেটগুলি উপনিবেশ স্থাপন হিসাবেও পরিচিত এটি। এর দীর্ঘায়িত সোজা, ক্লাভেট বা স্ট্র্যাপের মতো স্ট্রোমাটা আঙুলের মতো বেশিরভাগ স্থল দিয়ে পোকার দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। জাইলারিয়া জেনাসে প্রায় ১০০ প্রজাতির মহাজাগতিক ছত্রাক রয়েছে। পলিমোরফা অর্থ "বহু রূপ"। এর নাম অনুসারে, এর বেশ পরিবর্তনশীল তবে প্রায়শই পোড়া কাঠের সাথে মিলিত ক্লাব-আকৃতির ফলের দেহ (স্ট্রোমা) রয়েছে। বসন্তকালে এই ছত্রাকটি প্রায়শই কনিডিয়া নামক সাদা বা নীল বর্ণযুক্ত স্পোরের স্তর তৈরি করে যা এর পৃষ্ঠ এবং আশেপাশের অঞ্চলে বৃদ্ধি পায়।
সায়েন্স ফ্রাইডের মতে, ছত্রাকটার এমন ভুতুড়ে নাম কারণ এক ঝটকায় দেখে মনে হচ্ছে যেন জঙ্গলের মধ্যে পাথরের ফাঁক দিয়ে মানুষের আঙুল বেরিয়ে রয়েছে। ডেড ম্যানস ফিঙ্গার সাধারণত দুই থেকে পাঁচটি শাখা একসঙ্গে ক্লাস্টার করে বৃদ্ধি পায়। বন এবং কাঠের অঞ্চলে এটি পাওয়া যায়। এটি সাধারণত ক্ষয়ে যাওয়া কাঠ এবং পচা গাছের কাণ্ড থেকে বৃদ্ধি পায়।
তথ্যসূত্র:
1. Wikipedia,
2. ndtv,
3. kolkata24x7,
4. dainikamadershomoy,
5. thedhakatimes.
লেখক:
অয়ন বিশ্বাস
বি.এসসি, এম.এ(ভূগোল), বি. এড্
ঘোড়ালিয়া, শান্তিপুর, নদিয়া।
বি.এসসি, এম.এ(ভূগোল), বি. এড্
ঘোড়ালিয়া, শান্তিপুর, নদিয়া।
.........................................................................................................
লেখকের লিখিত অনুমতি ছাড়া সমগ্র বা আংশিক অংশ প্রতিলিপি
করা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। কোন তথ্যের সমগ্র আংশিক ব্যবহার মুদ্রণ বা
যান্ত্রিক পদ্ধতিতে (জিংক, টেক, স্ক্যান, পিডিএফ ইত্যাদি) পুনরুৎপাদন করা
নিষিদ্ধ। এই শর্ত লঙ্খন করা হলে আইনের সাহায্য নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে।
No comments:
Post a Comment