বক্রেশ্বর পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সিউড়ি সদর মহকুমার দুবরাজপুরে অবস্থিত। বক্রেশ্বর হ'ল গরম জলের ঝর্ণার অর্থাত উষ্ণ প্রস্রবণগুলির জন্য বিখ্যাত। বক্রেশ্বরের স্থানাংক ২৩.২৮° উত্তর ৮৭.৩৭° পূর্ব । বীরভূমের শুষ্ক পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এই অঞ্চলের গড় উচ্চতা ৮৪ মিটার। এটি বক্রেশ্বর নদের তীরে অবস্থিত।
বক্রেশ্বর শব্দটি এসেছে স্থানীয় বক্রেশ্বর শিবের নামানুসারে। বক্র শব্দটির অর্থ বাঁকা; ঈশ্বর অর্থে ভগবান। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, সত্যযুগে লক্ষ্মী ও নারায়ণের বিবাহ অনুষ্ঠানে সুব্রত মুণি দেবরাজ ইন্দ্র কর্তৃক অপমানিত হন। ক্রুদ্ধ ঋষির দেহ আটটি বাঁকে বেঁকে যায়। তিনি অষ্টবক্র ঋষি নামে পরিচিত হন। বহুবছর শিবির তপস্যা করে ঋষি সুস্থ হয়ে ওঠেন। বক্রেশ্বর ৫১টি শক্তিপীঠের অন্যতম এবং হিন্দুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ। একারণে অজস্র মন্দির গড়ে উঠেছে বক্রেশ্বরে। কথিত আছে এখানের পড়েছে দেবীর ত্রিনয়ন। দেবী এখানে দশভূজা রূপে পুজিতা হন।
বক্রেশ্বর শব্দটি এসেছে স্থানীয় বক্রেশ্বর শিবের নামানুসারে। বক্র শব্দটির অর্থ বাঁকা; ঈশ্বর অর্থে ভগবান। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, সত্যযুগে লক্ষ্মী ও নারায়ণের বিবাহ অনুষ্ঠানে সুব্রত মুণি দেবরাজ ইন্দ্র কর্তৃক অপমানিত হন। ক্রুদ্ধ ঋষির দেহ আটটি বাঁকে বেঁকে যায়। তিনি অষ্টবক্র ঋষি নামে পরিচিত হন। বহুবছর শিবির তপস্যা করে ঋষি সুস্থ হয়ে ওঠেন। বক্রেশ্বর ৫১টি শক্তিপীঠের অন্যতম এবং হিন্দুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ। একারণে অজস্র মন্দির গড়ে উঠেছে বক্রেশ্বরে। কথিত আছে এখানের পড়েছে দেবীর ত্রিনয়ন। দেবী এখানে দশভূজা রূপে পুজিতা হন।
মন্দিরের পাশেই রয়েছে একাধিক প্রাকৃতিক উষ্ণ প্রস্রবণ রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে উষ্ণ প্রস্রবণের জল পবিত্র এবং যথাযথভাবে ভক্তরা উপাসনা করেন। মনে করা হর এই উষ্ণ প্রস্রবণের জলে নাকি রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রয়েছে। প্রায়শই রোগ নিরাময় ও ঈশ্বরিক শক্তি গ্রহণ করার জন্য লোকেদের হাত এবং পা ডুবিয়ে রাখতে দেখা যায়।
বক্রেশ্বরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এর উষ্ণ প্রস্রবণ গুলি। এই শহরে মোট দশটি উষ্ণ প্রস্রবণ আছে। আশ্চর্যের বিষয় কুণ্ডগুলি পাশাপাশি অবস্থান করলেও বিভিন্ন কুণ্ডের জলের তাপমাত্রা ভিন্ন ভিন্ন।
এখানে যে দশটি উষ্ণ প্রস্রবণ রয়েছে সেগুলি হ'ল:
১] পাপহরা গঙ্গা (Paphara ganga)
২] বৈতারিণী গঙ্গা (Baitarini ganga)
৩] খার কুণ্ড(Khar kunda): এই উষ্ণ প্রস্রবণের জলের তাপমাত্রা ৬৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৪] ভৈরব কুণ্ড(Bhairav kunda): এই উষ্ণ প্রস্রবণের জলের ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৫] অগ্নি কুণ্ড(Agni kunda): অগ্নি মানে আগুন। এই উষ্ণ প্রস্রবণের জলের উষ্ণতা ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এটি সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সিলিকেটস, ক্লোরাইডস, বাইকার্বোনেটস এবং সালফেটসের মত অনেক খনিজ সমৃদ্ধ, যার ঔষধি গুণ রয়েছে বলে জানা যায়। এটিতে তেজস্ক্রিয় উপাদানগুলিও উপস্থিত থাকতে পারে।
৬] দুধ কুণ্ড(Dudh kunda): ওজোন ঘন হওয়ার কারণে সম্ভবত এই প্রস্রাবের জল খুব ভোরের দিকে নিস্তেজ সাদা বর্ণ ধারণ করে। এই উষ্ণ প্রস্রবণের জলের উষ্ণতা ৬৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৭] সূর্য কুন্ড (Surya kunda): এই উষ্ণ প্রস্রবণের জলের উষ্ণতা ৬১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়।
৮] শ্বেত গঙ্গা (Shwet ganga)
৯] ব্রহ্ম কুন্ডা (Brahma kunda)
৯] অমৃত কুন্ড (Amrita kunda)
বক্রেশ্বরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এর উষ্ণ প্রস্রবণ গুলি। এই শহরে মোট দশটি উষ্ণ প্রস্রবণ আছে। আশ্চর্যের বিষয় কুণ্ডগুলি পাশাপাশি অবস্থান করলেও বিভিন্ন কুণ্ডের জলের তাপমাত্রা ভিন্ন ভিন্ন।
এখানে যে দশটি উষ্ণ প্রস্রবণ রয়েছে সেগুলি হ'ল:
১] পাপহরা গঙ্গা (Paphara ganga)
২] বৈতারিণী গঙ্গা (Baitarini ganga)
৩] খার কুণ্ড(Khar kunda): এই উষ্ণ প্রস্রবণের জলের তাপমাত্রা ৬৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৪] ভৈরব কুণ্ড(Bhairav kunda): এই উষ্ণ প্রস্রবণের জলের ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৫] অগ্নি কুণ্ড(Agni kunda): অগ্নি মানে আগুন। এই উষ্ণ প্রস্রবণের জলের উষ্ণতা ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এটি সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সিলিকেটস, ক্লোরাইডস, বাইকার্বোনেটস এবং সালফেটসের মত অনেক খনিজ সমৃদ্ধ, যার ঔষধি গুণ রয়েছে বলে জানা যায়। এটিতে তেজস্ক্রিয় উপাদানগুলিও উপস্থিত থাকতে পারে।
৬] দুধ কুণ্ড(Dudh kunda): ওজোন ঘন হওয়ার কারণে সম্ভবত এই প্রস্রাবের জল খুব ভোরের দিকে নিস্তেজ সাদা বর্ণ ধারণ করে। এই উষ্ণ প্রস্রবণের জলের উষ্ণতা ৬৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৭] সূর্য কুন্ড (Surya kunda): এই উষ্ণ প্রস্রবণের জলের উষ্ণতা ৬১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়।
৮] শ্বেত গঙ্গা (Shwet ganga)
৯] ব্রহ্ম কুন্ডা (Brahma kunda)
৯] অমৃত কুন্ড (Amrita kunda)
অগ্নিকুণ্ডটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা, এর জলে অনবরত হিলিয়াম গ্যাস বেরোচ্ছে। চারিদিকে ডিম সেদ্ধর মতো গন্ধ। বর্তমানে ভারত সরকারের আণবিক পরীক্ষা বিভাগ এখান থেকে হিলিয়াম গ্যাস সংগ্রহ করছে। কুণ্ডটি তাদের তত্ত্বাবধানে সুন্দরভাবে রক্ষিত। কাউকে জলের কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয় না। ওপর থেকে দড়িতে ঘটি বা বালতি ঝুলিয়ে জল তুলে নিয়ে বোতলে ভরে ‘তীর্থসলিল’ নামে বিক্রি হয়। বহু রোগ, বাত-ব্যাধি, হাঁপানি এমনকি অম্বলও নাকি ভাল হয়ে যায় এই জল খেলে।
কুণ্ডগুলির জল কাচের মতো পরিষ্কার, গভীরতা দেড়-দু’হাতের বেশি নয়। শীতল সরোবরের ঘাট বাঁধানো–- মকরমুখ থেকে গরমজল ঝরে পড়ছে। মহিলা ও পুরুষদের আলাদাভাবে স্নানের ব্যবস্থা রয়েছে। তেল ও সাবান মাখা নিষিদ্ধ। কুণ্ডসমূহের জল পাপহরা নদীতে পড়ে বক্রেশ্বর নদের সঙ্গে মিশে গেছে।
একাধিক উষ্ণ জলের কুণ্ডু, উষ্ণ প্রস্রবণ আর বক্রেশ্বর শিবকে ঘিরেই মূলত বক্রেশ্বরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠেছে।
প্রসঙ্গত, জানিয়ে রাখি পানাগড়-মোরগ্রাম জাতীয় সড়ক থেকে মল্লারপুর লাগোয়া মেটেলডাঙা গ্রাম যাওয়ার পথে বছর ন’য়েক আগে উষ্ণ জলের ওই উৎসের সন্ধান মেলে। ২০০৯ সালে ‘সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার বোর্ড’ ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পাইপ বসিয়ে ভূগর্ভস্থ জলের অনুসন্ধান চালায়। অনুসন্ধান শেষে তারা মেটেলডাঙা গ্রামের কাছে একটি পাইপ পোঁতা অবস্থায় রেখে চলে যায়। পরবর্তী কালে গ্রামবাসীরা দেখেন, ওই পাইপ থেকে অবিরাম ধারায় গরম জল উপচে পড়ছে। খবরটা ছড়িয়ে পড়তেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। দূর-দূরান্তের মানুষজনও গরমজল হাতে নিয়ে পরখ করার জন্য হাজির হন। শুধু মেটেলডাঙা নয় খরাসিনপুরে আবিষ্কৃত হয়েছে আরও একটি উষ্ণ জলের ধারা। অনুসন্ধান চালালে বক্রেশ্বরের মতোই এখানেও আরও গরম জলের কুণ্ডু কিংবা প্রস্রবণের ইঙ্গিত দিচ্ছে খরাসিনপুরের ওই গরম জলের ধারাটি। ময়ূরেশ্বর - ১ বিডিও পঞ্চায়েত সমিতির দেওয়া তথ্য অনুসারে জানা গেছে ভ্যারিয়েবল এনার্জি সাইক্লোজোন ডিপার্টমেন্ট মেটেলডাঙা এবং খরাসিনপুরের গরম জলের নমুনা পরীক্ষা করে জানিয়েছিল বক্রেশ্বরের তুলনায় তাতে হিলিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি রয়েছে।
কুণ্ডগুলির জল কাচের মতো পরিষ্কার, গভীরতা দেড়-দু’হাতের বেশি নয়। শীতল সরোবরের ঘাট বাঁধানো–- মকরমুখ থেকে গরমজল ঝরে পড়ছে। মহিলা ও পুরুষদের আলাদাভাবে স্নানের ব্যবস্থা রয়েছে। তেল ও সাবান মাখা নিষিদ্ধ। কুণ্ডসমূহের জল পাপহরা নদীতে পড়ে বক্রেশ্বর নদের সঙ্গে মিশে গেছে।
একাধিক উষ্ণ জলের কুণ্ডু, উষ্ণ প্রস্রবণ আর বক্রেশ্বর শিবকে ঘিরেই মূলত বক্রেশ্বরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠেছে।
প্রসঙ্গত, জানিয়ে রাখি পানাগড়-মোরগ্রাম জাতীয় সড়ক থেকে মল্লারপুর লাগোয়া মেটেলডাঙা গ্রাম যাওয়ার পথে বছর ন’য়েক আগে উষ্ণ জলের ওই উৎসের সন্ধান মেলে। ২০০৯ সালে ‘সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার বোর্ড’ ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পাইপ বসিয়ে ভূগর্ভস্থ জলের অনুসন্ধান চালায়। অনুসন্ধান শেষে তারা মেটেলডাঙা গ্রামের কাছে একটি পাইপ পোঁতা অবস্থায় রেখে চলে যায়। পরবর্তী কালে গ্রামবাসীরা দেখেন, ওই পাইপ থেকে অবিরাম ধারায় গরম জল উপচে পড়ছে। খবরটা ছড়িয়ে পড়তেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। দূর-দূরান্তের মানুষজনও গরমজল হাতে নিয়ে পরখ করার জন্য হাজির হন। শুধু মেটেলডাঙা নয় খরাসিনপুরে আবিষ্কৃত হয়েছে আরও একটি উষ্ণ জলের ধারা। অনুসন্ধান চালালে বক্রেশ্বরের মতোই এখানেও আরও গরম জলের কুণ্ডু কিংবা প্রস্রবণের ইঙ্গিত দিচ্ছে খরাসিনপুরের ওই গরম জলের ধারাটি। ময়ূরেশ্বর - ১ বিডিও পঞ্চায়েত সমিতির দেওয়া তথ্য অনুসারে জানা গেছে ভ্যারিয়েবল এনার্জি সাইক্লোজোন ডিপার্টমেন্ট মেটেলডাঙা এবং খরাসিনপুরের গরম জলের নমুনা পরীক্ষা করে জানিয়েছিল বক্রেশ্বরের তুলনায় তাতে হিলিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি রয়েছে।
*************************************
তথ্যসূত্র:
1. https://wikipedia.org
2. www.thewall.in
3. www.anandabazar.com
লেখক:
অয়ন বিশ্বাস
বি.এসসি, এম.এ(ভূগোল), বি. এড্
ঘোড়ালিয়া, শান্তিপুর, নদিয়া।
বি.এসসি, এম.এ(ভূগোল), বি. এড্
ঘোড়ালিয়া, শান্তিপুর, নদিয়া।
© GEO HUB (Enhance Your Geo Knowledge) # Ghoralia, Santipur, Nadia, Pin- 741404.
.........................................................................................................
লেখকের লিখিত অনুমতি ছাড়া সমগ্র বা আংশিক অংশ প্রতিলিপি
করা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। কোন তথ্যের সমগ্র আংশিক ব্যবহার মুদ্রণ বা
যান্ত্রিক পদ্ধতিতে (জিংক, টেক, স্ক্যান, পিডিএফ ইত্যাদি) পুনরুৎপাদন করা
নিষিদ্ধ। এই শর্ত লঙ্খন করা হলে আইনের সাহায্য নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে।
No comments:
Post a Comment