নদীয়া জেলার শান্তিপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে শান্তিপুর কলেজের ঠিক পাশে শান্তিপুর রাষ্ট্রীয় উদ্যানের অবস্থিত। এই রাষ্ট্রীয় উদ্যান বন অধিদপ্তর, আরবান রিক্রিয়েশন ফরেস্ট্রি ডিভিশন, কল্যাণী রেঞ্জের অধীনে। এটি অনেক শোভাময় গাছপালা এবং গাছ দিয়ে সজ্জিত। এখানে একটি সুন্দর পুকুর আছে এবং এখানে বোটিং এর ব্যবস্থাও আছে। অনেক মূল্যবান ও পুরাতন গাছ আছে।
প্রায় পাঁচ দশক আগে তৈরি হয় এই উদ্যানটি ৷ বনদপ্তরের উদ্যোগে ফুল ও বাহারি পাতার গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে ৷ উদ্যানের ভিতরের একটি পুকুর রয়েছে ৷ পুকুরটি চারপাশ বাঁধানো, পুকুরের পাশে বসার ব্যবস্থা ৷ ভিতরে রয়েছে একটি নতুন শিশু উদ্যান ৷ সেখানে আছে শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইডের ব্যবস্থাও ।
আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে পারেন সুন্দর নিরিবিলি মনোরম পরিবেশে। এখানে যে কোন উপলক্ষ উদযাপন করতে পারেন, পিকনিক স্পটের ও ব্যবস্থা আছে। পর্যটকদের টানতে তৈরি করা হচ্ছে ক্যাফেটেরিয়া। উদ্যানটি নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য উদ্যানের ভেতর একটি ট্রেন ও একটি পাখিরালয় তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। আশা সৌন্দার্যায়ন বৃদ্ধির ফলে পর্যটকদের উৎসাহ বাড়বে, মানুষ ভিড় জমাবে শান্তিপুর রাষ্ট্রীয় উদ্যানে।
এই জায়গাটি সাধারণত বাগানের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হত কিন্তু বসন্ত ঋতুতে এটি নদীয়া জেলার সবচেয়ে বড় বসন্ত উৎসবের জন্য শান্তিপুরের মানুষের কাছে প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে। হাজার হাজার মানুষ ও তরুণ প্রজন্ম অংশ নেয় পবিত্র বা দোল উৎসবের পাশাপাশি বসন্ত উৎসব উদযাপন করতে।
ফুল ও বাহারি পাতার গাছ দিয়ে সাজানো, সুন্দর বাঁধানো পুকুর,মূল্যবান ও পুরাতন শোভাময় গাছপালা দিয়ে সজ্জিত স্থানটি আপনি ফটোগ্রাফি ও শুটিং এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন। তবে শুটিং এর জন্য অনুমতি প্রয়োজন। রাষ্ট্রীয় উদ্যানে প্রবেশ টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ২০/- টাকা।
সহজ সড়ক ও রেল যোগাযোগ এর মাধ্যমে আপনি চলে আসুন শান্তিপুর। শান্তিপুর স্টেশন থেকে টোটোতে পৌঁছাতে পারেন শান্তিপুর রাষ্ট্রীয় উদ্যানে।
No comments:
Post a Comment