নদীয়া জেলার রানাঘাট-১ ব্লকের পায়রাডাঙ্গা শিবপুরে ভাগীরথী এবং চূর্ণীর সঙ্গমস্থলে উদ্ভূত চর যা মঙ্গলদ্বীপ নামে পরিচিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত একটি স্থান । অঞ্চলটির ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক 23°7'39" উত্তর, 88°29'57" পূর্ব। এটি ভাগীরথী নদী ক্রুজ বরাবর একটি ট্যুরিস্ট ট্রানজিট পয়েন্ট-কাম-রিসর্ট হিসাবে গড়ে উঠেছে।
চলে আসুন কলকাতার এক্কেবারে কাছেই মঙ্গল দ্বীপে। হুগলি নদীর উপরে তৈরি হয়েছে এই মঙ্গলদ্বীপ। মাঠ-ফাগুনের দুপুরে জমিয়ে চড়ুইভাতি করে নেওয়া যেতে পারে। আবার নিছক বেড়াতেও বেশ মন্দ লাগবে না। নদীর মাঝে বিশাল এই দ্বীপ এখন পর্যটকদের নতুন ডেস্টিনেশন বললে ভুল হবে না। সেখানে তৈরি করা হয়েছে একটা পার্কের মত।
পায়রাডাঙ্গা রেল স্টেশন থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে পায়রাডাঙ্গা শিবপুরঘাট থেকে নৌকায় ভাগীরথী পার হয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের টুরিস্ট স্পট মঙ্গল দ্বীপের সুন্দর মনোরম পরিবেশে পৌঁছে যেতে পারেন। চারিদিকে নদী বেষ্টিত এই দ্বীপ। জনবসতী নেই এই নদীর চড়ায় কেবল গাছ গাছালি রয়েেছ। বড় বড় বৃক্ষেরও দেখা মিলবে এখানে। আপনি যদি নদীর মাঝখানে একটি জনপ্রিয় পিকনিক স্পট খুঁজছেন তবে হ্যাঁ এই জায়গাটি আপনার পূর্বের পছন্দ হওয়া উচিত। সুন্দর এই দ্বীপে গড়ে উঠেছে একটি ইকো ট্যুরিজম পার্ক। বিস্ময়কর ল্যান্ডস্কেপ, মনোরম আবহাওয়া, মৃদুমন্দ বাতাস আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এই জায়গাটিকে একটি নিখুঁত পর্যটক ও পিকনিক স্পট বানিয়েছে।
নদীর তীরে অবস্থিত, এটি একটি পার্ক, বাগান এবং দুটি কটেজ নিয়ে গঠিত একটি পিকনিক স্পট। এইরকম পরিবেশে শীতের মরসুমে বনভোজন অর্থাৎ চড়ুইভাতির আমেজটাই আলাদা। সন্ধ্যায় হুগলি বরাবর একটি বোটিং ভ্রমণ অবশ্যই স্মরণীয় হবে এবং আপনাকে সেই জায়গায় ফিরিয়ে আনবে। থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা অবশ্য এখানে নেই। এখানে পিকনিক করতে হলে নিজেদের খাবার নিয়ে যেতে হবে অথবা রান্নার সব সরঞ্জাম নিয়ে যেতে হবে। তবে জলের পর্যাপ্ত সুবিধা রয়েছে। পার্কের মধ্যেই পরিশ্রুত পানীয় জলের বন্দোবস্ত রয়েছে। আপনি স্থানীয় ক্যাটারিংয়ের মাধ্যমে খাবারের ব্যবস্থা করতে পারেন বা সেখানে খাবার নিজেরাই রান্না করতে পারেন। এখানে রান্না ও পরিবেশনের ব্যবস্থাও রয়েছে। পার্কিং সুবিধা রয়েছে।
মঙ্গলদ্বীপের কাছেই রয়েছে গোয়াইয়ের চড়। গঙ্গা আর চূর্ণি নদীর সঙ্গমস্থলে তৈরি হয়েছে এই গোসাইয়ের চর। সেখানে আবার নোকার হাল বেয়ে চলে না। এপার ওপারে দড়ি টাঙানো রয়েছে। সেই দড়িই বেয়েই যায় নৌকা। হাল টানতে হয় না মাঝিকে। গোসাইয়ের চরে মূলচ চাষবাস হয়ে থাকে । প্রচুর কলা গাছের বাগান রয়েছে। রয়েছে বড় আম বাগান। মঙ্গলদ্বীপে ঘুরতে এসে অনেকেই চলে আসেন এই গোসাইয়ের চর দেখতে।
কিভাবে পৌঁছবেন? শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে আপনাকে পেয়ারাডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে আসতে হবে। শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, গেদে গামী যেকোনো লোকাল ট্রেনে আসতে পারেন। তারপর, টোটো বা অটোতে শিবপুরঘাট এখনথেকে নৌকায় ভাগীরথী পার হয়ে পৌঁছে যান মঙ্গলদীপ ইকো ট্যুরিজম পার্কে।
No comments:
Post a Comment