লাতিন শব্দ ‘ Equinox ’ ( ইকুইনক্স ) -এর বাংলা প্রতিশব্দ ‘ বিষুব ’ এবং শব্দটির অর্থ ‘ সমান রাত্রি ‘ ( Equi = equal , nox = night ) । ব্যাবহারিক ক্ষেত্রে যেদিন পৃথিবীর সর্বত্র দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান ( ৭২ ঘণ্টা দিন ও ১২ ঘণ্টা রাত্রি ) হয় , সেই বিশেষ দিনটিকে বলে বিষুব । ‘বিষুব’ শব্দের অর্থ হলো সমান দিন ও রাত্রি। পৃথিবীর পরিক্রমণ গতির ফলে ২১ শে মার্চ ও ২৩ শে সেপ্টেম্বর তারিখে পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয়। এই বিশেষ তারিখ দুটিকে ‘বিষুব’ বলে।
মহাবিষুব:
সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করতে করতে ২১ শে মার্চ তারিখে পৃথিবী তার কক্ষপথের এমন এক স্থানে অবস্থান করে যে দিন মধ্যাহ্ণ সূর্যরশ্মি ঠিক লম্ব ভাবে নিরক্ষরেখার উপর পড়ে এবং পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্য থেকে সমান দূরত্বে অবস্থান করে। এর ফলে ওই তারিখে পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয়।তাই এই ২১ শে মার্চ তারিখকে মহাবিষুব বলা হয়। এই ২১ শে মার্চ উত্তর গোলার্ধে বসন্ত ঋতু বিরাজ করে বলে ওই দিনটিকে বসন্তকালীন বিষুব ( Vernal or Spring equinox ) বলা হয়।
জলবিষুব:
সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করতে করতে 23 শে সেপ্টেম্বর তারিখে পৃথিবী তার কক্ষপথের এমন এক স্থানে অবস্থান করে যে দিন মধ্যাহ্ণ সূর্যরশ্মি ঠিক লম্ব ভাবে নিরক্ষরেখার উপর পড়ে এবং পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্য থেকে সমান দূরত্বে অবস্থান করে। এর ফলে ওই তারিখে পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয়। তাই এই 23 শে সেপ্টেম্বর তারিখকে জলবিষুব বলা হয়।এই 23 শে সেপ্টেম্বর উত্তর গোলার্ধে শরৎ ঋতু বিরাজ করে বলে ওই দিনটিকে শরৎকালীন বিষুব (Autumnal equinox ) বলা হয়।
বৈশিষ্ট্য:
১)মহাবিষুব ও জলবিষুবের সময় পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয়।
২)মহাবিষুব ও জলবিষুবের দিন সূর্য ঠিক পূর্ব দিকে উদিত হয় এবং পশ্চিম দিকে অস্ত যায়।
৩)এই দিন দুটিতে ছায়াবৃত্ত প্রতিটি অক্ষরেখাকে সমদ্বিখণ্ডিত করে।
৪)এই দিন দুটিতে মধ্যাহ্ন সূর্য রশ্মি নিরক্ষরেখার উপর 90° কোণে পতিত হয়।
No comments:
Post a Comment