ভূগোল সেট-৮ (Geography set-8)
(১) বামন গ্রহ (Dwarf Planet) কি?
উঃ- ২০০৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন প্রদত্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী, মহাকাশে এমন কিছু জ্যোতিষ্ক আছে যারা তাদের কক্ষপথের সন্নিহিত অঞ্চল থেকে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রাকার মহাজাগতিক বস্তুসমূহকে সরিয়ে দিতে পারে না। তাদের বামন গ্রহ (Dwarf Planet) বলে। যেমন -- আমাদের সৌরজগতের একটি বামন গ্রহ প্লুটো।
(২) জিওয়েড (Geoid) কী?
উঃ- গ্রিক শব্দ Geoeides থেকে Geoid কথাটির উৎপত্তি হয়েছে। Geo এর অর্থ পৃথিবী ও Oeides এর অর্থ মতো বা সদৃশ। সুতরাং জিওয়েড শব্দের অর্থ পৃথিবীর সদৃশ বা পৃথিবীর মতো।
(৩) জিওডেসি কী?
উঃ- বিজ্ঞানের যে শাখাতে সমীক্ষা ও গণনার দ্বারা পৃথিবীর আকার ও আকৃতি পরিমাপ করা হয়, তাকে জিওডেসি বলে।
(৪) আমাদের সৌরজগতে মোট কয়টি প্রধান গ্রহ আছে?
উঃ- ৮ টি (বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন)।
(৫) আমাদের সৌরজগতে বামন গ্রহের সংখ্যা কতগুলো?
উঃ- ৫ টি।
(৬) সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে কত সময় লাগে ?
উঃ- আট মিনিট কুড়ি সেকেন্ড।
(৭) সৌরজগতের কোন গ্রহকে লাল গ্রহ বলা হয়?
উঃ- মঙ্গল কে।
(৮) পৃথিবী থেকে সূর্যের মধ্যে সর্বাধিক দূরত্ব কত কিমি?
উঃ- ১৫ কোটি ২০ লক্ষ কিমি।
(৯) আমাদের সৌরজগতের কোন দুটি গ্রহের উপগ্রহ নেই?
উঃ- বুধ ও শুক্র।
(১০) GPS শব্দের পুরো অর্থ কী?
উঃ- Global Positioning System.
(১১) GPS ব্যবহারের ক্ষেত্রে ন্যূনতম কতগুলি উপগ্রহ প্রয়োজন হয়?
উঃ- ৩ টি।
(১২) পৃথিবীর অভিকর্ষজ ও বলের মান কোন অঞ্চলে সবচেয়ে কম ও কোন অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি?
উঃ- নিরক্ষীয় অঞ্চলে সবচেয়ে কম ও মেরু অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি।
(১৩) পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চল এবং মেরু অঞ্চলের ব্যাস কত কিমি?
উঃ- ১২,৭৫৭ কিমি (নিরক্ষীয় অঞ্চল) এবং ১২,৭১৪ কিমি (মেরু অঞ্চল)।
(১৪) পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস ও মেরু ব্যাসের মধ্যে পার্থক্য কত?
উঃ- ৪৩ কিমি।
(১৫) কে প্রথম পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেন?
উঃ- এরাটোস্থেনিস।
(১৬) উদস্থিতিক ভারসাম্য কাকে বলে?
উঃ- অভিকর্ষজ বল ও বস্তুসমূহের বাইরের দিকের চাপ সমান হলে তাকে উদস্থিতিক ভারসাম্য বলে।
(১৭) পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস ও মেরু ব্যাস সমান নয় কেন?
উঃ- পৃথিবীর আবর্তনের জন্য নিরক্ষীয় অঞ্চলে কেন্দ্র বহির্মুখী শক্তির জন্য নিরক্ষীয় অঞ্চলটি বেশি স্ফীত হয়। অন্যদিকে কেন্দ্রমুখী শক্তির কারণে দুই মেরু প্রদেশ চাপা হয়। তাই পৃথিবীর নিরক্ষীয় ব্যাস ও মেরু ব্যাস সমান নয়।
(১৮) কুইপার বেল্ট কী?
উঃ- আমাদের সৌরজগতের গ্রহাণু ভর্তি হিমশীতল প্রান্তটি কুইপার বেল্ট হিসাবে পরিচিত।
(১৯) পৃথিবীর উচ্চতম ও গভীরতম অংশ কোনটি?
উঃ- পৃথিবীর উচ্চতম অংশ হল -- মাউন্ট এভারেস্ট (উচ্চতা ৮৮৪৮ মিটার) ও গভীরতম অংশ হল প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা খাতের চ্যালেঞ্জার ডেপথ (গভীরতা ১০৯১৬ মিটার)।
(২০) পৃথিবীকে নীল গ্রহ বলা হয় কেন?
উঃ- পৃথিবীর তিন ভাগ জল ও এক ভাগ স্থল। তাই, মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে নীল দেখায় বলে একে নীল গ্রহ বলা হয়।
(২১) GPS এর প্রধান অংশ কি কি ?
উঃ- ১) মহাকাশ অংশ ২) ভূপৃষ্ঠ অংশ ৩) ব্যবহারকারী অংশ।
(২২) পৃথিবীর আনুমানিক বয়স কত?
উঃ- ৪৬০ কোটি বছর।
(২৩) জিপিএস এর দুটি ব্যবহার লেখ।
উঃ- ১) বিমান, জাহাজ চলাচলে ও মিলিটারি কাজে ব্যবহৃত হয়। ২) যেকোনো স্থানের উচ্চতা, উচ্চতার আপেক্ষিকতা নির্ণয়, জরীপ কার্য ও মানচিত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
(২৪) কোথায় ও কবে প্রথম GPS এর ব্যবহার চালু হয়?
উঃ- আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো থেকে ১৯৯০ এর দশক থেকে GPS এর ব্যবহার শুরু হয়।
(২৫) কোথায় ধ্রুবতারার উন্নতি কোণ ৯০ ডিগ্রি?
উঃ- উত্তর মেরুতে।
(২৬) দক্ষিণ গোলার্ধে কোন নক্ষত্রকে দেখে উন্নতি কোণ নির্ণয় করা হয়?
উঃ- হ্যাডলির অকট্যান্ট।
(২৭) পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলের পরিধি কত?
উঃ- ৪০,০৭৫ কিমি।
(২৮) পৃথিবীর মেরু অঞ্চলের পরিধি কত?
উঃ- ৪০,০২৪ কিমি।
(২৯) কে প্রথম পৃথিবী গোলাকার ধারণা দেন ?
উঃ- পিথাগোরাস।
(৩০) পৃথিবীর গড় উষ্ণতা কত?
উঃ- ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
No comments:
Post a Comment