দামোদর নদ 'বাংলার দুঃখ' নামে পরিচিত। আর, বিহারের দুঃখ (Sorrow of Bihar) বলা হয় কোশী নদী (Koshi River)-কে। কোশী একটি আন্তর্জাতিক নদী। নেপাল ও তিব্বতে উৎপত্তি লাভ করে তিনটি নদী (অরুণ কোশী, সান কোশী ও তামুর কোশী) নেপালের ত্রিবেণীতে মিলিত হয়ে কোশী নামে প্রবাহিত হয়েছে। বিহারের ভীমনগরের নিকট কোশী নদী ভারতে প্রবেশ করেছে। এরপর ভারতের বিহার রাজ্যের সহরসা, পূর্ণিয়া, খগড়িয়া, মধুবনী, সীতামঢ়ী, মুজফফরপুর, দ্বারভাঙ্গা জেলার ওপর প্রবাহিত হয়ে কুরসেলা (বিহার)-এর নিকট গঙ্গা নদীতে মিশেছে। কোশী নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৭২০ কিমি এবং অববাহিকার আয়তন ৭৪,৫০০ বর্গকিমি। বিহার তথা ভারতে কোশী নদীর দৈর্ঘ্য ২৬০ কিমি এবং অববাহিকার আয়তন ১১,০৭০ বর্গকিমি। বিগত ২৫০ বছরের কোশী নদীর নিম্নপ্রবাহের গতিপথ পূর্ব থেকে পশ্চিমে ১২০ কিমি স্থানান্তরিত হয়েছে। কোশী নদীতে প্রায় প্রতিবছর বর্ষাকালে বন্যা দেখা যায়। প্লাবন সমভূমি ভূপ্রকৃতি, নদীখাতে পলি জমে গভীরতা হ্রাস, উচ্চপ্রবাহে অধিক বৃষ্টিপাত প্রভৃতি কারনে কোশীর নদীতে সৃষ্ট বন্যায় বিহারের বিস্তীর্ণ অংশ প্লাবিত হয়। তাই কোশী নদীকে 'বিহারের দুঃখ' বলে। ১৯৬৮ এবং ২০০৮ সালে কোশী নদীর বন্যা বিশেষ উল্লেখ্য।
No comments:
Post a Comment